আজ আমি এসেছি পাঞ্জাবী পড়ে
খাদির কাপড়ে তোমার বানিয়ে দেওয়া।
-আমিও শাড়ি পড়ে এসেছি, লাল পাড় সাদার উপরে,
-যেটা আমার তোমা হতে গত বসন্তে পাওয়া।
তোমাকে খুব খুব সুন্দর লাগছে, আজ
-মিথ্যে বলনা ওগো আমার দেবরাজ।
বাঙ্গালীয়ানার দিব্যি দিয়ে
বৈশাখ এলো আজ,
নববর্ষের এই দিনেতে
কেন বাঙ্গালী সাজ?
তোমার আমার বৈশাখটা
হোক প্রতিদিন
ভালোবাসা প্রেমের ছোঁয়ায়
থাকুক অমলিন।
এসো এসো আমার প্রিয়,
বৈশাখের রাখালী
আজি এই নববর্ষে
নয় কোন আর হেয়ালি।
কালো চুলের খোঁপাতে
পড়াব গোলাপ ফুল
শুধরে নিব যত আছে
বিগত সব ভুল।
তোমার রাঙ্গা গলাতে
পরিয়ে বেলির মালা
গাইব বাউল সুরে
নতুন দিনের পালা।
মেহেদী রাঙ্গানো হাতে
পরিয়ে গাঁদার রাখি,
উড়িয়ে দিব মুক্তকাশে
ভালোবাসার পাখী।
আজকে তোমায়
দেব না কোথাও যেতে
সারাটাদিন আমার বুকে
থাকবে কান পেতে।
তোমার তরে নব দিনে
ভালবাসার আলিঙ্গন
মিষ্টি সুরে গোপন প্রেমের
সান্ধ্য আয়োজন।
-এই মাত্র লিখলে?
চল পান্তা ইলিশ খাই, সাথে ঠক দই,
-একদিনের পান্তা ইলিশের বাঙ্গালী আমি নই।
আজ বটমূল টা খুব বেশী ভিড়।
-তোমার চোখ তো চোখ নয়, যেন একটা তীর।
একটাই তো তীর আছে, সেটা তোমার দিকে তাক করে।
-সুন্দরী মেয়েদের শাড়ীর আড়ালে নরম পেটে চোখ পড়ে।
ইলিশের মত চকচকে পেট
তোমার শাড়ীর আড়ালে,
মধুর ক্যান্টিনের সিঙ্গারাটা
বুকের ভিতর চাপালে।
এমন কিছু আছে তোমার
নেই অন্য কারো,
এমন কথা এমন দিনে
কিভাবে বলতে পারো?
-এইসব অসভ্য কবিতা কিভাবে আসে?
তুমি যখনই আস, সভ্য থাকে না কাব্য।
-সাথে তুমিও। ভুলে গেছি, শুভ নববর্ষ।
ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি,
-আমিও।
কাছে এসো, তোমার জন্য একটা বৈশাখ
-ওটা না হয় আজ বাকী থাক।