(এক)
বুনো কাব্য
*******
তোমার হাতটা দাও,
-কেন?
তোমার হাত ধরব।
-ধর।
হাতে একটা চুমু দেব?
-দাও।
হাত দুটো এত নরম তুলতুলে কেন?
-মাখন দিয়ে বানিয়েছেন স্রষ্টা।
তাহলেতো কামড় দিয়ে দেখতে হয়।
-ভালো হবে না বলছি।
তোমার হাতে রেখেছিনু হাত
ভাবিনি কোন পাঁচ সাত,
উদোম প্রেমে উদোম রাত
মনকে রাঙ্গিয়ে এলো প্রভাত।
-কার কবিতা?
কবি দেবরাজ।
-এতো সুন্দর কবিতা তুমি কি করে লিখ?
তোমার প্রেমের কারনে।
-আমার জন্য কোন কাব্য কি তোমার আছে? সব তো পত্রিকার জন্য।
শুনবে?
-হ্যাঁ।
আলতো করে আলতো চিমটি
দিলাম নগ্ন পিঠে,
আলতো চাপে নরম বুকে
প্রেমের জ্বালা মিঠে।
আলতো করে হাত রেখেছি
নরম বুকের ভাঁজে,
আলতো করে আদর পেয়ে
তোমার দু'চোখ বুজে।
আলতো করে ফেলছি যত
নিঃশ্বাস তোমার গাঁয়,
ভারী হলেও আমার ওজনে
তোমার যত সায়।
ওজন দিয়ে ভোজন করি
সারা অঙ্গের ঝড়,
অর্থহীন শব্দ প্রেমের
কেঁপে উঠে স্বর।
-বন্ধ কর বুনো কাব্য, দিলাম গালে এক চড়!
(দুই)
যৌবনের ঝাউবনে
***********
কি?
-কী?
না, কিছু না।
-তাহলে?
দেখছি।
-অমনভাবে?
অমনভাবেই তো দেখবো।
-গিলে খাবে নাকি?
চিবিয়ে খাবো
-শয়তান,
এতো সুন্দর কেন তুমি?
-সুন্দর চোখ দিয়ে দেখছ তাই,
এতো প্রেমময় কেন তুমি?
-তোমার প্রেম আমার হৃদয়ে তাই,
তোমার চোখে এতো কিসের মায়া?
-পৌরষের কাছে পরাস্ত আমার চোখ,
তোমার ঠোট দুটো রাঙ্গা কেন?
-এতো কাব্য কেন আজ? প্রিয় কবি দেবরাজ,
কোন উদ্দেশ্য নেই,
-উপলক্ষ আছে?
তাতো আছেই,
-কি সেটা?
মুক্তো কুড়িয়ে কাটাব সারাদিন,
-কোথায়?
ঝাউবনে,
-হাসালে! ঝাউবনে মুক্তো,
হ্যাঁ, তরল মুক্তো,
-সেই ঝাউবনটা কোথায়?
তোমার যৌবনে, যৌবনের ঝাউবনে,
-অসভ্য! কি বেয়াদব!