আমাদের ছোট হুজুর
কতোইবা বড় হবে,
তাঁর ভয়ে থর থর,
কাঁপি মোরা সবে।
যেদিন ছোট হুজুরকে
পাঠালেন বিস্বনাথ,
ভেবেছিলাম হবেন তিনি
নজরুল, রবিন্দ্রনাথ।
সাহিত্যে মোটেও নেই
অনুরাগ তাঁর,
সারাদিন দেয়াল এঁকে,
করেন দিন পার।
যাক বাবা পেলাম মোরা
নতুন এক জয়নুল,
কদিন পরে পেলাম টের,
মোরা সবে ভুল।
আঁকা আঁকি দিয়ে বাদ
দৌড় ঝাপ বেশি,
পেয়ে গেলাম এযুগের
ম্যারাদোনা, মেসি।
দৌড় ঝাপ ছেড়ে এখন
ব্যাটে বল হাঁকান,
নিজে নিজে হয়ে যান
সাকিব আল হাসান।
দৌড় ঝাপ ব্যাট বলের
দিন হল শেষ,
একা একা বসে ভাবেন
হুজুর অনিমেষ।
পেলেন হাতে এবার,
বাবারই ল্যাপটপ,
বিল গেট্স হবেন তিনি,
মুখে দিয়ে ললিপপ।
ল্যাপটপ আর নয়,
ছুড়েন ঘরের কোণে,
মন তাঁর, এইবার
মা'র আই ফোনে।
আই ফোন হাতে নিয়ে
ভাবখানা এমন,
আচরনে বিচরণে
স্তিভ জবস যেমন।
মাঝে মাঝে আকাশেতে
তাকিয়ে আনমন,
করবেন আবিস্কার যা,
পারেননি নিউটন।
দাদা দাদীর প্রিন্স তিনি,
চাচার নয়ন মনি
নানা নানীর টুকরো হীরা,
মামার সোনার খনি।
আজকে ছোট হুজুরের
দুবছর হল পার,
প্রবাস থেকে তাঁর জন্য
ছড়ার সমাহার।
আজকে সবে মিলে
বাজায় আনন্দ বীণ
সবে মিলে গায়ব গান
শুভ জন্মদিন।
(প্রিয় ছোট হুজুর, শুভ জন্মদিন। অনেক অনেক ভালোবাসা ও আদর
আপনার জন্য। আজ আপনার দুই বছর পুরন হল। জানিনা আপনাকে না দেখে কিভাবে দুটো বছর পার করেছি। তবে অনেক কষ্টের।অনেক ব্যাথার। আপনার ছোট্ট ছোট্ট দুটো হাতের স্পর্শ থেকে আমি বঞ্চিত। ঐ ছোট্ট ছোট্ট দুটো হাতের স্পর্শে কি যে সুখ ও আনন্দ, তা আপনি বুঝবেন যেদিন আমার মত আপনার ও একটা ছোট হুজুর থাকবে। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার সাক্ষাতের প্রত্যাশায়। যেইদিন বাংলা শিখবেন, পড়তে পারবেন, সেদিনের জন্য এই চিঠি। আজকের জন্য শুধু দোয়া। দোয়া আজীবন। কামনা করি সবসময় সুস্ত থাকুন অনেক বড় হোন, পিতা মাতার প্রতি শ্রদ্ধা আজীবন অটুট থাকুক।
আমীন।
ইতি
আপনারই বাবু, ইউ.কে.)