(এই কবিতাটা, আমরা যারা রাজনীতির সাতে পাঁচে জড়িত নই, কিন্ত নিয়মিত রাজনীতিবিদদের প্রতারনার শিকার, তাদের জন্য)


সকালে আজ যারা বাসা থেকে এলো, আবার ফিরবে বলে
কেউ কেউ তাদের ফিরে আসে না, লাশ ঘরে যায় চলে।
হটাত কি হল? ভালোই তো ছিলাম, কেন এত দাবী দাওয়া?
আমি লাশ হলে পূরণ হবে কি দেশের যত চাওয়া পাওয়া।
বাবা বের হন, খোকা খুঁজবেন, হন্যে হয়ে খোঁজ সবখানে,
খুঁজতে খুঁজতে একসময় আসেন শাহবাগের ময়দানে।
লক্ষ লক্ষ তারুণ্যের ভীর, প্রতিবাদ আর স্লোগানে মুখর হয়
ভাবেন বাবা, সহজ সরল খোকাটা, এখানে আসার কথা নয়।
বন্ধুরা খুঁজে, পাড়া প্রতিবেশিরা খুঁজে, রাত গড়িয়ে হয় সকাল,
এবাড়ী ওবাড়ী, সব কড়া নাড়ি, বাদ যাইনা থানা হাসপাতাল।

ওদিকে বাসায়, সারাদিন মা'য়, কোরআন সিজদা বারে বারে
বোন বসে আছে, তাসবিহ হাতে, ভাই কখন কড়া নাড়ে?
বাবা ফিরে আসে, মলিন বদনে, ভাই এর নেই কোন খবর,
অপেক্ষাই অপেক্ষাই পুরো পরিবার, রাত করে পার, হয় ভোর।
ফজরের নামাজ শেষ, জায়নামাজে বাবা, ব্রত মুনাজাতে,
এমন সময় টক টক করে, কড়া নাড়ে, কে যেন দরাজাতে।
উর্দি পড়া কয়েক জন লোক, আছে ভাই, কি কোন খবর?
তোমাদের খোকা পেয়েছি মোরা, সে আছে এখন লাশ ঘর।


ছুটে যান বাবা, বন্ধুরা সব, ঘুমিয়ে আছে লাশ ঘরে খোকা,
শাসক তোমার মুকুট চাইনি কখনো, বানিয়োনা মোদের বোকা।
একটু একটু স্বপ্ন দিয়ে, লালনে যতনে, বড় করেছে দেশ তারে
এমনতো ছিলনা কথা, ওগো দেশমাতা, এতটা পিশাচ হতে পারে?
আর কত খোকা রক্ত দিবে, বন্ধ কর মা'র বুক ফাটা আর্তনাদ,
আমরা সাধারন যারা, আহাম্মক তারা, আমাদের কি প্রতিবাদ!
এইভাবে করে কত বাবা মায়ের হবে, অকালে স্বপ্ন শেষ?
কিছুই চাই না মোরা, এইটুকু জবাব, দাও আমার বাংলাদেশ।