মৃত্যুরা দৈনন্দিন ফিরে আসে
মৃত্যুরা বিভিন্ন রূপ নেয়
নেয় ভিন্ন ভিন্ন গন্ধ, রঙ, বৈচিত্র্য।
তোমার আমার সম্পর্কের যখন মৃত্যু হল,
তাঁর কি কোন নাম দিয়েছিলে তুমি?
সেই কফিন আজো বয়ে বেড়াই আমি।
হয়ত আজীবন।
ধর্ম এবং বিশ্বাসের মৃত্যু হলে
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ফুসলে উঠে।
মানুষের মধ্যে মানুষের মৃত্যু হয়।
মনুষ্যত্ব হারিয়ে দল বেঁধে রাস্তায় নামে কিছু পশু।
রক্তের পিপাসা দৈনন্দিন, সর্বত্র, প্রতি মুহূর্তে।
মৃত্যু, মৃত্যু এবং লাশ চাই।


যখন মানচিত্রের মৃত্যু হয় তখন
দেশ হারায় সারবভৌমত্ত।
নাগরিক হারায় দেশ।
মৃত্যুর পিপাসায় মাঠে নামে হায়েনা।
মৃত্যুরা রূপ পাল্টায়।
আমার চারপাশের মৃত্যুর অভিজ্ঞতা
লক্ষ লক্ষ ছাড়িয়ে কোটি।
মানবজাতির মানচিত্রে হিংসার কালো ধোঁয়া
মন্দির এবং মসজিদের মৃত্যু
গির্জা এবং প্যাগোডার মৃত্যু
পক্ষ এবং বিপক্ষের মৃত্যু
মৃত্যু, মৃত্যু এবং লাশ চাই।
বিশুদ্ধতা এবং পবিত্রতার মৃত্যু হলে
জাতির মৃত্যু ঠেকিয়ে রাখা বড় দুসাধ্য।


আমি মানবতার মৃত্যু দূরদর্শন
হয়রানি, বৈষম্য এবং ঘৃণার মৃত্যু হলে
শান্তির পুনঃজন্ম হয়। বিবেক পায় বিশুদ্ধতা।
এটা আবার কেমন মৃত্যু - সবসময় -
সামান্য খাবারের প্রতীক্ষা!
একটুকু পথ্য, বস্ত্র
প্রত্যেক সময় আমি পিছনে তাকাই
অন্ধের বৈঠাচালনায় পার হয় কোন নদী,
সর্পরাজার নোংরা ফণা, ক্ষণিক দৃষ্টি লাভ করা -
আলো ঝলমল করে তাঁর মুকুট
জনতার ধন তাঁর মাথায়।
তার কি এক দশমাংশও মৃত্যু হয়?
জাতির মৃত্যুতে তাঁর কি যাই আসে।
তাঁর অপেক্ষা, মৃত্যুর অবশ্যম্ভাবী ঐকতান শুনতে? -
এই তাঁর নিয়তি দাবি, ছিল শপথ।
মৃত্যু, মৃত্যু এবং লাশ চাই।।