আকাশের রঙধনু খুঁজে এনে
মাতাল হাওয়ায় উড়ে যাওয়া তোমার চুলে বেণী করে দিব।
আকাশের নীল এনে তোমার কপালে দিব টিপ,
দূর পাহাড়ের সবুজ এনে তোমার যৌবনকে করে দিব আরও সতেজ,
ঝর্নার শীতল জল এনে তোমাকে ভিজিয়ে, করে দিব কোমল।
রাতের উল্কার তপ্ত আলোতে তোমার কামনা বাসনা হবে উত্তাল
চাঁদের নরম জোৎস্নায় তুমি হবে শীতল,
জোনাকির আলোতে তোমার কাঁপানো ঠোটে হবে একটা গভীর চুম্বন,
আলতা রাঙ্গানো পা বেঁয়ে উপরে উঠে যাবে আমার ক্ষুধারত দু'হাত,
বন্ধ চোখের পাপড়ি খুলে দিয়ে তুমি কি দেখছ? আমার শৈল্পিক উম্মাদনা?
কি চমৎকার একটা ভাবনা তাই না?
আমরা খুশি মনে, একসঙ্গে সবসময়,
আমাদের স্বপ্নের কি কোন শেষ ছিল?
আকাশ ফুটো করে ঈশ্বর তোমার আমার ঘুম দেখে।
আমার হৃদয় ভারী বোধ হয়, কোথায় লুকিয়ে থাকব?
তোমার ঠোঁট, তোমার চোখ, উত্তাল তরঙ্গের এই দেহ,
এই প্রাণময় ভাস্কর্যের শিল্পী ঈশ্বর নিজেই।
সৌন্দর্যের অনেক অনেক গভীর থেকে তাঁর তুলিতে, মাধুর্য দিয়ে
দিন রাত তাঁর শিল্প সৃষ্টি। ঈশ্বরের কি হৃদয় আছে?
তাঁর শৈল্পিক সৃষ্টির শিল্প রসিক আমি।
আমার নিঃস্বার্থ ভালবাসায় তোমাকে ভিন্ন ভিন্ন আকৃতি দিই প্রতিক্ষন
অতীত দিনের তৈরি বর্গক্ষেত্রে আমাদের একসঙ্গে অতিবাহিত করার
প্রতিটি নতুন নকশায় আমাদের অন্তরের প্রেমের সেলাই
সারি সারি আবেগ মিশ্রিত করে
ভালবাসায় আবদ্ধ তুমি আমি।
আশা, বিশ্বাস এবং সত্যের
আমার নির্ঘুম রাতের শ্রদ্ধেয় রাজকুমারী
আমার স্বর্গ, তোমার নখদর্পণে, ঈশ্বর কি জানত?
তোমার নির্যাস থেকে চকচকে নাটকীয় সৌন্দর্য দেখতে
ঈশ্বরের কি মহাবিশ্ব সৃষ্টি!
ঝুলন্ত সুখী রাতের উচ্চ আকাশের তারার কিরণ,
আমাদের স্বপ্ন বিলাসের পথ দেখায়।
নাক্ষত্রিক আলোকচ্ছটা, নাক্ষত্রিক আলোর গোলক,  
আলোক উৎসাহী কিন্তু তপ্ত নয় এমন
চির চেনা রূপ, আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত
ঈশ্বরের এই শিল্পের শেষ কোথায়?