দিনটি ছিল খুব শুষ্ক
রাত্রিটি ছিল ভীতিকর,
সঙ্গে ছিল একাকী স্বপ্ন ও চিন্তাধারা,
চোখের অশ্রুতে যত দু:খ ভরা।
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
মরুভূমিতে বেড়ে উঠা ফনিমনসা গাছের মত অনুভুতি,
জলের অভাবে কাঁটা হয়ে বেড়ে উঠা তার পাতা,
যেমনটি আমার মন নিঃসঙ্গতায় দিনের পর দিন।
হাতে হাত রেখে তোমার নিঃসঙ্গতাকে পাঠিয়েছিলাম বনবাস,
কান্নার জল মুছে দিয়ে তোমাকে করেছি স্পর্শ,
তোমার সবটুকু জল নিয়ে জীবন আমার তপ্ত মরুভুমি,
আমিও ফনিমনসা গাছের মত বেড়ে উঠছি,
একাকী ও নিঃসঙ্গ হয়ে।
ভালো লেগেছিল একটি বড় বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ
যেখানে সদ্য টিউলিপ ফোঁটা বাগানের হাতছানি ডাক,
সেই বাগানে পোকা মাকড়ের বসত, আর আমি বিভূঁই,
সবকিছু উজার করেও আমি এই পৃথিবীর কারো নই,  
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
দিগন্ত শেষে যেখানে সূর্যের ঠিকানা, সূর্য সেখানে একাকী,
এতো আলো পেয়েও তৃপ্তি নেই এই ধরিত্রীর,
চাঁদ পেয়ে ভালো লাগেনা সূর্যের সঙ্গ,
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
ভালো লেগেছিল অপার সাগরে একটি অতি ক্ষুদ্র ভাসমান দ্বীপ
ভালো লেগেছিল একটি বাতিঘর, একটি অজানা উপকূল
দিক পেয়ে কুলে আসি, কুল নেয় না কাছে তাই সাগরে ভাসি,
আমি একলা, বুঝিনি এই অজানা উপকূলের রঙ্গ,
আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
ভালো লাগত সামুদ্রিক বড় ডানার চন্দ্র পাখী,
দেখত যদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খুলে তার আঁখি,
ঈশ্বরের নির্দয়ে জীবন আঁখি বন্ধ,
আমি তার মত একাকী, আমি নিঃসঙ্গ।
ভালো হত যদি, একটি ঘুম হত বিশ্বের সকল অনিদ্রারোগীর
ভেঙ্গে যেত অজানা মরুভূমির বালি ঝড়ের অজানা প্রাচীর,
ভালো হত পেয়ে যদি পূর্ণিমার চাঁদের আভা,
ফিরে যেত সুখনীরে অসুখী পেচক চন্দ্রপ্রভা।
আমার জীবন সুখ যেখানে রণে ভঙ্গ,
সেখানে আমি একাকী, আজ আমি নিঃসঙ্গ।
সবকিছু লাগে যেন ফাঁকা, আজ আমি বড়ই একা,
ছেড়ে আসি পৃথিবীর যত সব মায়াবী বন্ধন,
একাকীত্ব আমার বন্ধু এখন,
নিঃসঙ্গতায় আজীবন আলিঙ্গন।
কেউ মোরা কেউ কারো নই, ভুলে করি মিলনের প্রার্থনা,
বন্ধন কভু অটুট হয় না, মেনে নিই একাকীত্বের যন্ত্রণা।