অতীত স্মৃতিতে এসে বহুদূর,
দুজনের জীবন যেথা স্মৃতিতে ভরপুর।
তুমি আমি কাছাকাছি কিছু সময়ে,
দুচোখ বন্ধ করে, কল্পনার নিলয়ে।
ভাবি আমি তোমাতে আমার নিবাস।
শিশিরসিক্ত চোখে ভোরের নির্যাস।
মিষ্টি কিছু রোদ দুজনে গাঁয়ে মেখে,
অনেক কথা হবে, রেখেছি যা স্মৃতিতে এঁকে।
স্মৃতির পথ ধরে দুজনে হাঁটি,
কোথাও ধুলিকনা, কোথাও মাটি।
কোথাও দুর্গম পথ, কোথাও সমতল
কোথাও পাহাড় পর্বত, কোথাও অথৈ জল।
খুব অকপটে বলি, করে গর্ব
আজ আমি তোমার হাত ধরব।


আমার কথা শুনে হাসছ কোন সুখে,
যে হাসিতে কাব্যধারা, তোমার মুখে,
কাজল কালো অপরূপ দুটো চোখ
তাকিয়ে রয় শুধু অপলক,
আমি কেঁপে উঠি কেন বারে বারে,
শীতলতা আবাস নেয় আমার শরীরে,
ঘুমিয়ে পড়া স্মৃতিকে জাগাতে,
আজকের এই মিষ্টি প্রভাতে,
আজ তোমায় খুব জোর করব,
আজ আমি তোমার হাত ধরব।


তোমার শিরা উপশিরায় ধমনীতে রক্ত প্রবাহে,
নীরব রক্তকনিকার জন্ম কোন আবহে?
তোমার আমার রক্তের মিল খুঁজে,
অকর্মণ্য ভালবাসা ঘুমে চোখ বুজে।
তোমার বস্ত্রের নীচে খুঁজে ফিরি মন,
প্রেমের যে উপসংহার নেই জানে কয়জন?
তারপরও ওখানে থেমেছিলে তুমি,
সেই স্মৃতি হাতরিয়ে তুমি আর আমি,
না, আজ আমি তোমার হাত ধরবোই ধরব,
এই আমার অধিকার, কে করে খর্ব?
আজ আমি তোমার হাত ধরব।


না বলা অনেক কথা ছিল সঙ্গোপনে,
আজ বলব দুজনে একান্ত নিরজনে,
প্রথম প্রেমের প্রথম মিলনে,
ফুলহিন বাসরে অতি গোপনে,
নগ্নতার চাদরে আবৃত দুজন
হয়ে উঠি সারারাত সুখী সুজন।
হলনা মালাবদল, সারারাত শরীর দখল
কামনার ঝড়ে, বাসনার ছোবল।
সারারাত বেঁয়ে বেঁয়ে শরীরের ডালে
বিনিদ্র রজনী করি পার, সবার আড়ালে।
ভোরের আগমনে শেষ বাসর পর্ব,
আজ আমি তোমার হাত ধরবই ধরব।