সত্য ভালবাসার রক্ত সজিব,
সত্য স্বাধীনতার রক্ত সতেজ,
সত্য দেশপ্রেমিকের রক্ত নির্লোভ,
সত্য কর্মজীবীর রক্ত নির্দোষ,
তাদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে কিছু মুকোশধারী এই শহরে।
কলকারখানার বর্জ্য বয়ে বেড়ানো,
কোন অখ্যাত নদীর অববাহিকায় দাঁড়িয়ে,
দুষিত গোসল সারে।
রাজ সিংহাসনের লোভের মাশুল দেয় সহজ মানুষগুলো।
সত্য দেশপ্রেমিকের অভাবে লোভী শিয়াল
সারা বাংলাদেশে গর্ত খুঁড়ে।
রাতের আঁধারে গর্ত থেকে বের হওয়া,
চামচিকার স্লোগানে মুখর সত্য ভালবাসা।
তার জামা দৃষ্টির বাইরে, আস্তরণের রক্তবর্ণ গিলটি টানা সঙ্গে রেশম,
তার ভেতরে সবুজ চওড়া, একটি উদ্যান,
খুব অমনযোগী এবং তাচ্ছিল্যপূর্ণ চোখ দয়া করে,
গর্বিত নীল গাউনে, বুকের মাঝে মোহময়ী ভাঁজ দুলে,
তুচ্ছ প্রেমিকাদের যৌবন রক্ত​দিয়ে তৈরি সত্য মিথ্যার ভালোবাসা।
ফোঁটা ফোঁটা পাপ মাটির তলদেশে পৌঁছেছে,
আজব কারিগরি কিছু মানুষ এবং পশু,
মিষ্টি গন্ধের ঘ্রাণ পেয়ে সত্য ভক্ষন করে।
যে চাওয়া নিরর্থক তার জন্য রাত দিন উঠে পড়ে লাগা,
হাল্কা উষ্ণতা, কিংবা ঠান্ডা তারা আনন্দে গ্রহণ করে।
অন্ধ ঝড়ের কবলে দিক হারিয়ে,
মিথ্যা স্বাধীনতার আশ্রয়ে, কিংবা না বোঝা পরাধীনতার প্রস্রয়ে,
বেড়ে উঠে গিনিপিগের মত।
দুর্দশা তাকে ম্লান করে তোলে,
সিংহরাজ কখনো হাত বাড়ায় না,
দেবরাজের অদৃশ্য হাত থেকে পরিত্রাণ পাইনা।
সত্য কর্মজীবীর রক্ত নির্দোষ,
যার অমর আঙ্গুলের দাগে একটি কাঠামো পাই মানচিত্র।
সেই অদ্ভুত শক্তির সঙ্গে স্বর্গীয় শক্তির বসবাস,
তার নির্দোষ রক্ত দেশের মাটিতে চুম্বন এঁকে দেয়।
তার ঘর্ম বিন্দু মাটিকে করে উর্বর, নদিকে করে বহমান,
তার সৌন্দর্য তার সৃষ্টি যা করে তাই মহান।


সত্য ভালবাসায় সত্য কর্মজীবীর সত্য দেশপ্রেমিকের  সত্য স্বাধীনতার দেশ চাই।
সবকিছু সত্য চাই।