খুব মনে পড়ে,
হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের ভোরে,
তোমার আমার ছিল প্রথম দেখা,
স্মৃতিতে যা আছে আজো আঁকা,
সবুজ একটা তাঁতের চাদর,
বিস্কুট রঙের ফতুয়া গাঁয়ে দিয়ে
তুষারাবৃত ফুটপাত পাড়ি দিতে গিয়ে,
কয়েকবার পিছলে পড়েছিলে তুমি।
সেই সুযোগে তোমার হাত ধরেছিলাম,
আর, আরও সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।
শুরু হল প্রথম দেখার প্রথম পর্ব তোমার সাথে।


খুব মনে পড়ে,
দুই কাপ কফির সামনে আমরা দুই জন,
বেয়ারা মেয়েটিকে প্রশ্ন করেছিলাম,
আমার বউটা কেমন লাগলো?
সোনালি রঙ এর চুল আর সাদা ধবধবে চামড়ার মেয়েটি ফিক করে হাসি দেয়।
আমার খুব চিনি খাওয়া দেখে
তোমার চকচকে সুন্দর চোখ দু'টোর ভ্রু কুঁচকে বলেছিলে
এতো! এগুলো চলবে না।


খুব মনে পড়ে
চেয়ারে বসতে গিয়ে তুমি যখন উপুর হচ্ছিলে
সেই ফাঁকে এক পলকে দেখেনিলাম
অন্তর্বাসে ঢাকা তোমার সুন্দর বুক
আর নিয়ে নিলাম যৌবনের কিছুটা নির্যাস।
তুমি কি বুঝেছিলে?
হয়ত বুঝেছিলে, হয়তবা না।
আবার মনে হয়,
না বুঝলে ওভাবে কি কেউ আড়ষ্ট চোখে বুকের কাপড় ঠিক করে?


খুব মনে পড়ে
তারপর দুজনে, একান্ত নিরজনে,
রোদহীন দুপুর বেলায়
কফি শেষে সোজা দোতলায়,
কত কথা জীবনের, কত স্বপ্ন দুজনের,
ইতালিয়ান রেস্টুরেন্টে জানালার কাছে,
আমার কি আর সেদিকে মন আছে?
খাবার শেষে বিদায়ের ক্ষন,
যখনই উঠে দাঁড়াবে,
আমার লোভাতুর দুচোখ কি আর সুযোগ হারাবে?
আর দেখেই নেই ফতুয়ার নীচে তোমার নাভির টগবগে যৌবন।


খুব মনে পড়ে
বিদায় বেলায় তোমার দেওয়া কথা,
রাতের বেলায় হবে ফোনে সব কথা।
আর এখন, ফোনে কোন কথাই হয় না রাতে,
তার চেয়েও বেশি কিছু হয় তোমার সাথে।