এই নাও গোলাপ
***********


এই নাও গোলাপ,
-তাজা রক্ত গোলাপ, আমার জন্য?
আর কেউ আছে নাকি আমার?
-আমি কি তা বলেছি, দেবরাজ?
দেখ, এখনো ডাটার মাঝে কষ।
-হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি,
কেমন দেখলে?
-মানে?
মানে ডাটার কষ টা কেমন?
-আমি কি খেয়ে দেখছি?
খাওনা কেন?
-এত অসভ্য কথা তোমার মাথায় আসে কোথা থেকে?
           তোমার পানে, সভ্যতা হার মানে,
           তোমার কানে, ভালোবাসার গুঞ্জনে।
           আমি প্রেমিক অসভ্য কেন আজ?
           জানবে তুমি বেলা হবে যখন সাঝ।
-কই নিয়ে যাবে?
লাভ লেন,
-লাভ লেন?
আমার বাড়ী।
-মনে থাকেনা, তোমাদের রাস্তার নাম লাভ লেন।
চানাচুর খাবে?
-কুর কুর শব্দটা ভালো লাগে না,
তরমুজ খাবে?
-বেশী রস!
লাল রস, রস তো খুব ভালো,
-রস, কষ এগুলো কেন আজ?
এগুলো ছাড়া কি প্রেম হয়? আমড়া নিয়ে আসি?
-নিয়ে আসো। ভিটামিন সি,
হ্যাঁ আজ ভিটামিন সি খুব দরকার।
-ফাজিল।


ভালোবাসা নাও
**********


প্রিয় রাহী,
ভালোবাসা নাও।
আমার কষ্ট গুলো সব আজ সকালে,
যেইগুলো ছিল জমা সংসারের দুঃখ পালে।
পলিথিন ব্যাগে ভর্তি করে যখন ডাস্টবিনে ফেলতে গেলাম,
পৌরসভার সেবক এসে দাঁড়িয়ে, দিল এক লম্বা সেলাম।
-বাবু, কি আছে তাহাতে?
বলেই তাকিয়ে আছে হাতে।
আমি বললাম আছে ব্যাগ ভর্তি সব কষ্ট,
-বাবু, করবেন না এই ডাস্টবিন নষ্ট।
ফেলব কোথায় এসব?
-কষ্ট ফেলার জায়গাতো নয় এটি,
-পাঠিয়ে দিন সব কষ্ট ভর্তি করে চিঠি।
কার ঠিকানায় পাঠায় আমার কষ্ট গুলো সব?
কষ্ট গুলো কষ্ট পেয়ে করছে কলরব।
কষ্ট গুলো মুক্তি দিতে তোমার তরে চিঠি,
হাতে একটু থাকলে সময়, দিও তোমার দিঠি।
আজকাল তুমি বড়ই ব্যস্ত, সময় নেই এক ফোঁটা,
কিসের আশায়, কিসের নেশায়, এদিক ওদিক ছোটা?
তোমার দেবরাজ আজীবন রাখবে তোমায় সুখে,
সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাতে থাকবে তুমি বুকে।
বুক ভরা ভালবাসা দিয়ে কষ্ট করে দূর,
মনে প্রানে বাজিয়ে যাবো প্রেম কাব্যের সুর।
ছিঁড় ধরা এই মনে তোমার লাগিয়ে দিব জোড়া,
আর নয় কোন অভিমান, নয় কোন কাঁদা ছোরা।
ভালোবাসার জন্য আজি ডাকব ধর্মঘট,
মাতাল হাওয়ায় তোমার মনে লাগবে প্রেমের জট।
এরপরেও কি পারবে তুমি করতে আমায় না,
তোমার দেবরাজ তোমার প্রেমের আসল ঠিকানা।
এখানেই শেষ চিঠি,
তোমার তরে আজ,
ভালবাসায় সিক্ত হও। ইতি,
তোমারই দেবরাজ।