তোমার সমস্ত শরীরে উছলে পড়া
অবাধ্য জোয়ারের বিচিত্রতায়
সূর্য কাঁপছে, সূর্য কাঁদছে।
চাঁদ ফেটে জানিয়ে দিচ্ছে পূর্ণিমার অস্তিত্ব;
জ্যোৎস্নার লাগামহীন জোয়ারে
ভেসে যাচ্ছে প্রকৃতি।
আর আমার শুন্য বুকে শ্বাসের ঘাটতি।
নীলাভ আকাশ ফেটে অঝোর ধারায় ঝরছে নীল
বাতাসের জঞ্জাল দূরে সরিয়ে,
গুনে গুনে শ্বাস নিচ্ছে খরা পীড়িত হাওড় বিল।
তোমার গন্ধ শুকে কাটিয়ে দিতে পারি সুদীর্ঘ রাত
বিশুদ্ধতায় পাড়ি দিতে পারি সুদীর্ঘ পথ।
ফিরে এসো, ফিরে এসো,
আর অপেক্ষা নয়,
আকাশ কাঁদছে আজ সব অশ্রু দিয়ে,
ফিরে এসো, ফিরে এসো,
এই বরষায়।
প্লাবন জলোচ্ছ্বাসে
অশান্ত ঢেউয়েরা ফণা তুলে,
শরতে সবুজ পাতার ক্রন্দন,
মেতে আছে সবে অশান্ত খেলায়,
অন্তবিহীন পথ পাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
আমি, শেষ গোধূলি বেলায়।
স্বপ্নের বিষাক্ত রঙে মিথ্যেরা গড়ে,
নরকের যাতনাময় প্রাসাদ,
ছিঁটকে পড়া জীবনে কিসের আস্বাদ?
অন্তহীন পথ শেষে দাঁড়িয়ে আছি
ভুল শুধরে নিলে আর কি থাকে বিবাদ?
ফিরে এসো, ফিরে এসো
না হয় সাথে নাও,
দুই হাত বাড়িয়ে আছি অনন্তকাল,
ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো,
অপেক্ষায় আমি,
প্রথম গোধূলি থেকে শেষ সকাল।