আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলাম অপলক,
ভাষাহীন ব্যাকরন খুঁজে এক জোড়া চোখ,
আমি তাঁর হাতে রেখে ছিলাম হাত
ভাগ্য রেখায় তন্ন তন্ন করে খুঁজে ভালোবাসা সুদীর্ঘ রাত।
সে নির্বাক,
আমি অবাক,
দুজনের অপলক চোখ গুলো ক্লান্তি ভুলে ,
সারারাত পার করি জোনাকি তুলে।
তৃষ্ণায় দুজনের দুটো ঠোট কাঁপে,
সারারাত জিইয়ে রাখা বাসরের চাপে।
পা দুটো যায় টলে,
ঠোট দুটো কি বলে?
ভাষাহীন চোখ বুঝে,
শান্তিরা শয্যা খুঁজে,
দেহ কোমল নিথর,
ভাষাহীন হয় স্বর।
তীব্র অন্ধকারে তাঁর আলোর অবসর
দূরত্বের ব্যবধানে জেগে শুন্য অনুচর।
দূরত্ব কি বুঝে, না ছোঁয়ার যন্ত্রনা?
চিরকুমারী রাতের এইটুকু কি সান্তনা?
প্রশস্ত বুকে শূণ্যতার দীর্ঘ উপখ্যান,
সূর্যোদয়ের সাথে গোধূলির অভিমান।
ঠাণ্ডা আগুনে আজ দুজনের স্নান,
অপরূপ নিঃস্তবতায় পায় ভালোবাসা প্রান।
আনন্দ ভালবাসায় ক্ষত বিক্ষত কুপি,
সারারাতের রচনায় বাসরের পান্ডুলিপি।