আমি জানি, তোমার চোখ কখনো ভিজে না,
ওখানে এক ফোটাও অশ্রু নেই,
লোভ আর রক্তের নেশায় মত্ত তোমার চোখ,
হিংসা কিংবা প্রতিহিংসা নয়,
তোমার চোখ দেখে শুধু বিত্ত, বৈভব।
গলিত লাশ গুলো তোমার দিকে তাকিয়ে রয়।
তাঁরা কখনো তোমার শত্রু ছিল না,
তুমি কখনো তাদের নাম জানলে না,
কখনো জানলে না কি তার পরিচয়?
হয়ত কখনো দেখনি তাঁকে,
আজ তারে ডাক, লাশ বলে।
বুক পকেটে শয্যাশায়ী অসুস্থ মায়ের প্রেসক্রিপশন
কিংবা ভালোবাসার মানুষের চিঠি,
এক প্যাকেট লবন,চিনি,চা পাতার ধুমরে মুচড়ে যাওয়া লিস্ট
কিংবা কাজ থেকে ফেরার পথে কিছু একটা আনার তাগিদ,
‘’রোজ রোজ তুমি ভুল করো,
কাল বাচ্চাটার জন্মদিন’’।
সে আর ফিরে আসে না,
কিন্তু,
তুমি ঠিক সময় বাসায় ফিরো,
কাজের মেয়েটা দৌড়ে এসে খুলে দেয় জুতোর ফিতা,
ঠাণ্ডা শরবত নিয়ে অপেক্ষায় থাকে ভৃত্য,
পাঁচতারায় ঘটা করে পালন করছ স্ত্রীর সাথে বিবাহ বার্ষিকী।
অন্যের রক্ত মেখে কর শান্তির স্নান,
অপরিচ্ছন্ন সভ্যতায় তোমার বিপন্ন বিবেকে ভাসে তাঁর প্রান
তোমার পাপে অভিশপ্ত  তাঁর জীবন,
তোমাকে অশান্ত পৃথিবী জয় করে দেয়া,
কিংবা তোমার সুখের জাল বুনন,
এই শুধু তাঁর কাজ।
তাঁর নিঃশ্বাসের হাওয়ায় দুলছে তোমার নরম শয্যা।
তোমার তরেই কি শুধু বিকিয়ে দিবে তাঁর যত আছে সব!
বিবেকহীন পৃথিবীতে অবিবেকের কেন এই মোহ উৎসব?