যদি প্রশ্ন করো, পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র পানীয় কি?
এক কাপ চা।
পৃথিবীর কোন আকর্ষণ মধ্যাকর্ষণ কে হার মানায়?
চুমু।
যদি জানতে চাও কোনটা আগে নিব?
চুমু না চা?
পরেরটা আগে, আগের টা পরে।
যদি বল কেন?
চা পান শিখেছি সেই শৈশবে,
আর চুমু পান শিখেছি মাত্র সেদিন,
তোমার সাথে পরিচয়ের পর।
পরিণয়ের প্রথম দিন।
কালো রঙে তার নিপাট স্বচ্ছতা নিয়ে চা,
জননব্যাথার আবডালে উঁকি মেরে চুমু,
চা-চুমু দু’টোই চুমুকেই পান করতে হয়।
আমার দুটোই দরকার।
চা আমার অভ্যাস, চুমু আমার স্বভাব।
চুমু পানে অনায়াসে চলে যেতে পারি বিকেলের বৈকুণ্ঠে,
কবিতার খাতায় দু’লাইন ছন্দে।
চা পানে চিনে নিতে আসল পূজারি,
কিংবা শুনে নিতে পারি দু’টো লাইন রবীন্দ্র সঙ্গীত তোমার কণ্ঠে।
জীবনের প্রয়োজনে-সময়ের ব্যবধানে
চা- চুমু বদলে দিয়েছে অনেক কিছুর।
জীবনের অলিগলি,
মেঘের আড়ালে থাকা সূর্যের উঁকি, সবকিছুই।
চা-পান, এনে দিয়েছে যৌবনে প্রাণ,
চুমু-পান, তোমাকে আমাকে করেছে নিষ্প্রাণ।
আগাম লাগাম টেনে ধরার শক্তি নেই আমার,
আরও খেলার স্বাদ রয়ে গেছে,
বিছানার ধ্বংসস্তুপ থেকে দু’জোড়া ঠোঁটের বাঁধন ছিন্ন করে উঠে গিয়ে বলি
এক কাপ চা চাই, তারপর চুমু চাই।
আমার দুটোই দরকার।
চা আমার অভ্যাস, চুমু আমার স্বভাব।
একটা আমার শক্তি, আরেকটা ছন্দ।