১)
মানুষে মানুষে বিরোধ
সৃষ্টি থেকে যতো,
ইতিহাসে গুনে দেখো
লাশ পাবে ততো।
শান্তির গান গাও কবি,
আর বল ত্যাগে সুখ,
সর্বত্যাগে বাড়ল কেন
সুখী হবার দুঃখ।


২)
বাসনার সিন্ধুতে জমা
কামনার যত জল,
বিন্দু বিন্দু পানে  
ভুলে যাও যত ছল।


৩)
জেনো নাও,  আজ এইটুকু,
শয্যার জানালায় উঁকি দেয় স্বচ্ছ আঁধার,
তোমাকে দেখে,
স্নানে নামে, পানপাত্র টইটুম্বুর করা মাতাল জল,
পদলগ্না নূপুরের শব্দ, মনে করিয়ে দেয়,
শূন্যপথে চেয়ে আছি পূর্ণতার পথ।


৪)
ঘৃণায় মুছে দিয়ো পুঞ্জিভূত সব হাহাকার,
ধোঁয়ায় উড়িয়ে দিয়ো কালো মেঘের যত অন্ধকার।
নির্মমতার কষাঘাতে খুটিয়ে খুটিয়ে চলেছে যে অবুঝ মন,
বিশ্বাসের বিনিময়ে ভালবাসায় বিষ বুনেছিল সে কোন জন?
তোমার আমার একমতকে ওরা দেয় দ্বিমতের ফল,
ভালোবাসার অনুভব শূন্যের চোখে সিন্ধুর দুঃখিনী জল।  
জীবনের প্রয়োজনে জীবনকে নিয়ে খেলেছি অনেক,
ধ্বংসের মাঝে বিরামহীন নষ্ট নৃত্যে ভ্রষ্ট বিবেক।
সময়ের ব্যবধানে আজ বদলেছে তোমার চির-চেনা সকাল,
শূন্য নদীতে বাতাসের অনুকূলে তুলেছি কেন পাল?


৫)
তোমার অপেক্ষায় কাটছে নাতো,
একটু খানি প্রহর,
ইচ্ছে করে, ধ্বংস করি
মিথ্যে গলির শহর।


৬)
চোখের কোনে মেঘ জমেছে আজ
পড়েছে কাল বৈশাখীর ছায়া,
কখনো কখনো মনের আকাশে মেঘ-অশ্রুর মেলা,


পড়ন্ত বিকেলের রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি,
জীবন যেন সরল কোন অঙ্ক,
জ্যামিতিক দেহে অংকের যোজন বিয়োজন খেলা ।


৭)
কভে সর্বশেষ আমার মৃত্যু হয়েছিলো?
মনে নেই।
কভে আমার শয্যা পাশে চুপি চুপি ফুল রেখেছিলে?
মনে নেই।
কভে আমার কফিনের পাশে তুমি কেঁদেছিলে?
তাও মনে নেই।
শুধু মনে আছে,
যেদিন আমার দুই ঠোঁট ছুঁয়েছিল তোমার ঠোঁটে,
সেদিন জেগেছিলাম, নতুন জন্মের প্রতীক্ষায়।