যেখানে কোনদিন পরেনি একটুকু শিশির,
তৃষ্ণায় ফেটে গেছে বুক,
শান্ত স্বরে তবুও ডেকে উঠে প্রাণ,
নিমগ্ন ঈশ্বর গাইবে কোন নশ্বরের গান?
আমি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি
শান বাধানো ঘাঁটে তোমার প্রাত স্নানের ধুম,
যতই সুষম হোক গত রাতের চাষাবাদ,
রাতের চাষি ফিরিয়ে দেয় চুপচাপ কিছু ঘুম।
পাহাড়ি ঢালে বছরের পর বছর
জলের অমিয় ধারা,  
জ্যোৎস্নার জলে ডুব দিয়েছে সে,
হয়েছে ক্ষণে ক্ষণে দিক হারা।
মহুয়া বাতাসে অবিশ্রান্ত তুমি,
স্রোতস্বিনী দিগন্তরেখায় বসতি,
অধরে কম্পন তুলে আমায় স্পর্শটুকু দাও,
একটাবার রাঙাবো জীবন, হাত পেতেছি তোমার প্রতি।
তুমি আমার ভিতর আমাকে চিনে নাও,
চিনে নাও ঈশ্বর, নশ্বর, চন্দ্রবিন্দু, বিসর্গ,
সকাল সাজে সন্ধ্যাতে যে ভ্রান্তিতে গড়েছ আমায়
সে ভ্রান্তিতে হৃদয়ে তুলে রেখ কিছু শুদ্ধ অর্ঘ।