(এক)


তুমি নিজে কখনো রাত হলেনা,
রাতই হয়ে গেল তোমার মত,
চাঁদের গাঁয়ের ঐ কালো দাগ
নগ্ন পূর্ণিমায় যত,
এতো আলো গাঁয়ে দিয়ে, মিলায়না না কভু ক্ষত।
তাই কি তোমার রাত হতে
লাগে এতো ভয়,
ভয় পেয়ো না, রাত হতে
সুগভীর চাঁদনী রাতে,
ক্ষতের মাঝে হাত বুলিয়ে
করব নিরাময়।


(দুই)


প্রেম মানে তুমি আমি
চরকা বুড়ীর চাঁদ,
প্রেম মানে ভেসে বেড়ানো, এখানে ওখানে
তোমার জন্য আমার,
হৃদয়ে রাখা অদৃশ্য ফাঁদ।


(তিন)


তোমার  গুন গুন গুঞ্জনে
আসি আসি করে আসা হয় না,
যদি মৌমাছি হয়ে ঢুকে পড়ি চাকে,
কোন অন্তিম চাওয়া নেই,
ওখানেই গোধূলির শেষ ঠিকানা,
তাই বেঁধে রেখো সাত পাকে।


(চার)


তুমি ঢেউ হলে,
আমি ঢেউ ভেঙে দেব না সাগর পাড়ি,
তবে আমি ছুঁয়ে দেখব, রইব কান পেতে
দুই ঢেউয়ের মাঝে,
ভেঙ্গে দেব তোমার যত আড়ি,  
ঢেউয়ের মাঝে হবে আমার চির বসত বাড়ী।