বালিহাঁসের পালকে ঢাকা তোমার দুরন্ত যৌবন,
আজ কোন ফুল পাখীর কাব্য নয়,
বুকের মাঝে সুখ খুঁজে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিলাম,
ঝড়ো হাওয়ায় কিছু উষ্ণতা অশ্রুময়।
সে কে? দিয়েছে তোমায় এমন আকৃতি!
আজন্ম সাধনায় কেটে যাবে জীবন,
প্রেয়সী তুমি শ্রেয়সী হও, মনের গভীরে
দিয়ে যেও স্বপ্নের মতো কিছু ক্ষণ।


আমি নতজানু,
যখন বুঝেছি তোমাকে সৃষ্টির ঈশ্বরের অণু পরমানু,
অতলান্ত সুখস্পর্শে তোমার হাতদু’টো ধীরে ধীরে
অবাস্তব হয়ে গেছে বাস্তবতার শেষটুকু ঘিরে,
ভুলে কিংবা ছলে
বন্ধ আঁখির দু’ফোঁটা জলে,
তোমার সাদামাটা নিস্তব্ধ অলিগলি,
হৃদয় খুলে দিয়ে কিভাবে একাকী চলি?
ভুলে গেছি শহরের সেইসব অবিশ্বাসী আনাগোনা,
শরীর আর মনের মাঝে অকৃত্রিম দো’টানা।


শতভাগ সন্তর্পণে তুমি আমি ভিজছি কেবল,
চিলেকোঠার বন্ধ শহরে কী করে হাত ছাড়ি,
হাত ছাড়িনি, ছাড়িনি নিস্তব্ধ শহরের অলিগলি,
কিসের বৃষ্টি, কিসের মেঘ এই শহরে আজ,
তুমি আমি কি করে ফিরি বাড়ী,
তোমার আমার কাঁপন দেখে কাঁপছে শহরতলি।