চা পানে পানে বাকিটা বলি-
অনেক দিনের পুরনো অভ্যাস,
পুরো মাথাটাই চা বাগানের মত মনে হয়।
মানচিত্র হাতরিয়ে মস্তিষ্কে শুধু চা পাতার আকৃতি খুজে ফিরি,
অক্লেশে নির্ভাবনায়, এদিক কিংবা ওদিক,
যখন দিক বিদিকে কুঁড়ি মেলেছে কয়েকটি কচি পাতা,
জীবনমিছিলের প্রারম্ভে তাঁরা কি জানে?
সূর্যের আলো ছায়ায় বেড়ে উঠার আগেই,
তোমার আমার সকাল বিকাল সন্ধার পেয়ালায় তাদের নির্যাস ভাসবে।
গলির মোড়ের চা-ওয়ালাটি কোনদিন দেখেনি তার জীবন,
সে শুধু মিথ্যার এইটুকু জানে,
চা-শ্রমিক মেয়েদের দেহ পল্লব কি বলে?
পাহাড়ে পাহাড়ে শত শত বছরে বেড়ে উঠা চা গাছ গুলো
অপদাতিক চা স্রমিকের বুকে,
রেখে দেয় অস্ফুট শব্দের কোমলতা, হাজার বছরের ঘ্রাণ।
আজ আমি কোন দিকে যাব, বলতে পারিনা,
চা পানে পানে বাকী পথ টুকু সামনে যায়,
দু'হাত তুলে পরখ করেছি পুরনো অভ্যাসের ভার,
মৃত্যুগন্ধ গায়ে মেখে আজীবন ঘুমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে
যে পাতা গুলো দিন রাত দিয়ে যায় ক্লান্তিহীন জীবনের ছোঁয়া,
তার কথা চা পানে পানে আজীবনই বলতে হবে।
বাসি হয়ে ওঠা জীবনে
চা একক একটি শব্দ,
চা একাকী একটি শব্দ,
জীবনের প্রেমে চা আসবেই,
তোমার আমার স্মৃতিতে চা ভাসবেই।
এইবার উঠা যাক,
পিরিচের তলায় জমে থাকা চা, মুচকি হেসে বিদায় দেয়।