মেঘবালিকা, দিনশেষের সুখ এনে দাও,
কঠিন শপথে রাতের তারা আজো
একাগ্র পাঠে তুমুল নিশি জাগে।
গোধূলি লগ্নে শরীর কেঁপেছে,
খাড়া শরীরের লোমে তার নিদর্শন,
প্রিয় আলাপে আলাপে সান্ধ্যরাগে,
এনে দাও নির্মোহ সুর,
যা বয়ে গেছে শতাব্দী শতাব্দী ধরে,
এনে দাও জংলী চাপার ঘ্রাণ,
যার গন্ধে লুকানো কত অভিমান।
গলিত তপ্ত লোহার ফাঁদ পেতেছি,
সাবধানে পা বাড়াও,
জানালার লোহার খাঁচায় আবদ্ধ ক্ষুধার্ত যৌবন,
উৎসবের সূচীপত্রে গোধূলীর শেষে তার স্রাদ্ধ।
মেঘবালিকা, প্রান্ত থেকে প্রান্তে শরীরের
প্রতিটি দানায় ইলেক্ট্রন আর প্রোটন,
সন্ধি করে ধ্বংস করে দিতে চায় আজকের বাসর।
সাবধান হও এই সন্ধ্যায়, আমার হাতের মুঠোয়।
এখানে কি, কোনদিন চাঁদের আলোয় পূর্ণিমা ছিল?
কামশাস্ত্রের পুঁথি পাঠিয়েছিল সে কোন ঈশ্বর?
জোছনায় কিংবা অমাবস্যার আঁধারে পাঠ হবে আজ,
এই বৃত্তেই থেকো, অনায়াসে রৈখিকতার আয়েশে।
যা হবার, তা হবে, গন্ধহীন বর্ণহীন অদৃশ্য ছোঁয়ায়,
তোমার পুজো হবে, দ্বিতীয় আকাশে।
গহীণ গহ্বর থেকে অপরিচিত রক্তাক্ত স্রোত ধারায়
তুমি মিশে যাবে,
নীলবর্ণ মুখে জল দিও আমার তৃষ্ণার্ত ভালবাসায়,
হয়ত বুদ্ধিমান ঈশ্বর তা দেখে ধ্বংস করবে কামশাস্ত্রের পুঁথি
তাই আমি ঈশ্বরহীন করব, গড়ব তোমার আমার ঈশ্বরহীন পৃথিবী।