অন্ধ ঈশ্বর সবকিছুই দেখে, জানে শুনে,
শুধু দেখে না আমার ঘরের ভিতর চাঁদ জ্যোৎস্না সারথি।
বৃষ্টির গন্তব্য মোর ঘুরিয়ে দেয় আমার ভাঙ্গা দরজায়
রাজধানীর জীবনকে লালিত করে,
খড়কুটো জ্বালিয়ে ভুলাবে দিবা নিশির ছলাকলা গরল তরল।
তার ঘরে সবসময় প্রনাম উৎসব,
রাশি রাশি খাবার, ধন দৌলতের পাহাড়।
হে অন্ধ প্রভু, স্বর্গ নরক চিনি না আর!
বড্ড ইচ্ছা হয় বিষাদ মূর্ছনায় ভরা
আমার নরক টুকু তোমাকে দেখাবার।
কৃষ্ণ পক্ষ যেখানে পক্ষকাল বাদ দিয়ে
বছর বছর প্রেমের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
চাই না এমন প্রেম,
চাই তেমন যে প্রেম তোমাকে দিয়েছিলাম অন্ধভাবে।  
হে স্বাদ শিকারী স্রষ্টা,
সীমানার ভিতর তোমার অসীম আচরণ,
নাকের ডগায় স্বর্গীয় মুলা কতদিন?
কিছুই নেব না, কিছুই, অবহেলে যতটুকু জীবন দিয়েছ,
আলো আঁধারিতে চেনা অচেনা স্বর্গীয় উত্তাপে,
চাই শুদ্ধ আচরণ।