১)
তোমার জন্য কি কোন প্রতিশব্দ আছে?
আছে কি উপসর্গ, অনুসর্গ?
মেঘেরা এসে ভিজিয়ে গেল কবিতার খাতা,
বৃষ্টি ভেঙে সুর ভেসে আসে,
তোমার জন্যে আকাশের নীরব কান্না,
মুখোমুখি বসে দেখি নক্ষত্রের নীল ব্যথা।


২)
তোমার বিপরীতে তুমি, আমার স্পর্শে,
শ্মশানের তাণ্ডব কিসের অভিকর্ষে?
ধুলোর মধ্যে মিশে যাবে দেহ, আলোতে ছায়া,
রূপসী পাহাড় বেয়ে নামে শীতল নদী,
তীর ভেঙে বেড়ে উঠে পবিত্র অসুখ,
তরঙ্গগুলো মনে হয় অচেনা ফনা,
ফাঁকা মাঠে কবিতা একাকী ঘুরে
কিসের নিঃসঙ্গতায় উড়ে বেড়ায় সর্বভুক।


৩)
দেহের গভীরে বেঁচে আছে তোমার আসল দেহ,
নিঃশব্দে প্রতিদিন মাথা নীচু করে,
তোমার পায়ের কাছে নত শিরে দাঁড়ায়,
আয়নাতে কখনো দেখা যায় না আসল রুপ,
উল্টো পথে এই ভাবে চলে জীবন,
তবুও মানুষ আয়নার পানে কেন হাত বাড়ায়।