একটি নদী নিখোঁজ হয়েছে,
বড়ই শান্ত শিষ্ট নদী ছিল।
ভরা বর্ষায় খলবল করে নেচে গেয়ে উঠত,
পূর্ণিমায় চাঁদের ছায়া আগলে রাখত।
তারপর নদী কই যেন চলে গেল, অজানা কোন দেশে,
আর কবি, নদীর শোকে দিন রাত কাব্য বিরতি দেয়।
নদীর মতই হারিয়ে যায় কবির মন।
পেঁচা ঈগলের নখে চিহ্ন বিহ্ন হয়ে নদীর দুই কূল,
রক্তাক্ত, মরুভূমিময়।
কুলের দুই পাড়ে খুব সাধারণ দুই গ্রামের মানুষ,
বইয়ের ছাপানো সাজানো অক্ষরের মত তাদের জীবন,
তাদের পায়ের কাছে প্রতিদিন জড়ো হয় অসংখ্য বেদনাবোধ,
পুরনো স্মৃতির বান্ডিল খুলে অতৃপ্ত স্পর্শ স্মরণ করে,
ফাঁকা হয়ে আছে তাদের মন।
জীবন যৌবন সাক্ষী নদীর গভীর রাতের স্নিগ্ধ দেহশ্রী,
কবির মনে আজো দ্যোতনা ছড়ায়।
দৃশ্য-ঘাতকের অজস্র আঘাতে, ভুমি দস্যুর নির্মমতায়
এইভাবে প্রতিদিন নিঁখোজ হয় নদী, নদীর কাব্য, নদীর স্মৃতি।
এইভাবে স্মৃতির বান্ডিল খুলে অতৃপ্ত স্পর্শের অপেক্ষায় যুগ যুগ,
কবি ও নীরব গ্রামবাসী।