তোমার জন্য আজকের হরতাল,
রিকশার চাকা পাংচার করে,
তোমাকে টেনেহেঁচড়া করে হব বখাটে পিকেটার।
পুলিশ গুলো যদি নীরবে সব দেখত,
তাহলে তোমাকে পিঠে নিয়ে গন্তব্যে পৌছে দিতাম।
হরতালে ছয়লাপ হয়ে আছে যে চারপাশ,
তবুও তোমার চোখদুটি ফাঁকা রাস্তাঘাট দেখে, আমাকে দেখে না।


মনবেদনা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি,
তছনছ হয়ে যায় এক একটা হরতাল,
নীরবে জনশূন্য সমাবেশ করে বদলে যায় কর্মসূচী।


আর কত সুগভীর শ্বাস প্রশ্বাসে তুমি আমার হরতাল বুঝবে?
আর কত হরতাল হলে তুমি আমাকে খুঁজবে?
আর কত পদযাত্রায় তোমার অভিমুখে আমি স্তব্ধ হব?
আর কত অবরোধে তোমায় পেলে আমি শুদ্ধ হব?


দুপুর গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যা, মেঘ কেঁদেছে খুব,
ইচ্ছে হয় নিমিষে বিলিন হয়ে যায় তোমার দেয়া আগুনে,
হয়ত অঙ্গার হলে, তোমার রাজনিতির উল্লাসে,
থামবে আমার হরতাল, অবরোধ।
আমার মানচিত্র মুছে যাবে,
কিংবা ছিন্নভিন্ন হবে তোমার পলিশ করা নখে,
একদিন তোমার প্রজন্ম,
হয়ত আমার মত হরতাল অবরোধের ডাক দিবে,
হয়ত আমার মত নৈর্ব্যত্তিক ভাবনায়,
হয়ত শুদ্ধ করবে আমার চেতনার অবশিষ্ট অংশবিশেষ।