আজকাল চায়ের চেয়ে কফিটা বেশ আপন মনে হচ্ছে,
যেমনটি তুমি দিনে দিনে হচ্ছ।
খুব বিভ্রান্ত হই, দ্বিধা দন্ধে থাকি,
কোনটাতে চুমুক দিব?


খুব রাত্রিতে চায়ের কথা মনে হলেই,
চায়ের কেটলিতে হাত বাড়াতাম, দেরী না করেই,
ক্লান্ত দুপুর, সন্ধ্যেবেলায়, মধ্য রাতে অবহেলায়,
তোমার সনে নির্জনতায়, কোলাহলে, খেলার ছলে
বৃষ্টিবেলায় ধূমায়িত চায়ের পেয়ালাই ছিল আমার পরম চরমসঙ্গি।

এখন,
তোমার শূন্য হাতে কফির পেয়ালা দেখেই,
ইচ্ছে করে ঐ পেয়ালায় চুমুক দিয়ে দেখি।
অলস সময়ের বুক চিরে বেড়ে উঠা আমার অদম্য চা পান,
তোমার পৃথিবী,তোমার আকাশের নিকট হার মানে।
আমার ইচ্ছে করে শুধু ঐ কফি পেয়ালায় চুমুক দিয়ে দেখি,
যেটাতে তুমি চুমুক দিয়েছ।


আজ তোমার কফি পানের নীরব শব্দ শুনবো,
তোমার কফি পানের সরব দর্শক হব।
যে পেয়ালায় তোমার ঠোঁট দুটো আঠালো আকশির মতো সেঁটে থাকে,
সেই পেয়ালা হবে আমার প্রেম,
সেই কফি পেয়ালার সকল অযৌক্তিক নিয়ম কানুন নিঃস্ব করে,
তোমার ইচ্ছা অনিচ্ছায় আমার স্বইচ্ছায়,
কফির গন্ধে মাতাল হব,
সব দ্বিধা অমীমাংসিত রেখে
পদ্মপাতার মতো তুমি চোখ তুলে দেখবে,
পেয়ালায় যেখানে তোমার ঠোঁটের ছোঁয়া ছিল,
সেখানেই আমার ঠোঁট।


নিজেকে আর কোন দ্বিধা দন্ধে নয়, নয় দিগন্তহীন,
অজস্র চাঁদমুখ নয়, তোমার কফিমুখ দেখেই,
চরম সিদ্ধান্ত নিলাম, কফিই পরম, কফিই চরম।