বিজয়ী হতে আসিনি, পরাজয়ের দায় নিতে এসেছি,
এই নাও, খাতা, কলম, পেন্সিল, রং-তুলি,
এই নাও কাব্য, কবিতা, সুর, ছন্দ, কণ্ঠ,
অবশিষ্ট নেই কিছু আর।


আমি আমার মত থাকব না, তোমার মাঝে মিশে যাব,
ফিসফিসিয়ে মিলিয়ে যাবে আমার সব গান,
শতাব্দী শতাব্দী জুড়ে গ্রহ নক্ষত্রের পিছু পিছু খেলায়,
রাত দিনের পালা পরিবর্তনে,
হিসেব করো, কতবার তুমি আমি পরিবর্তিত হয়েছি।
পতঙ্গের পাখার কম্পনের মত কতবার কেঁপেছি,
তোমাকে আগলে রাখতে যতটুকু সময় শিখিয়েছে,
সভ্যতার যত বিজয়ীর গল্প।


তোমার আগমনের গল্প গায়ে মেখে ভুলে গেছি বিজয়ী হবার বাসনা,
যৌবনের অশেষ তেজে, শয্যায় যত ভোজের আয়োজন,
পথ পথে থেমে গেছে,বসন তোষণে নেমে গেছে।
রাত্রির নিশ্চুপ আলোতে তোমার প্রস্ফুটিত রূপ দেখে,
লুকায়িত বিজয়ী চিহ্ন, নিশ্চিহ্ন হল তোমার অহঙ্কারী গ্রীবায়।


একেকটি মুহূর্তে একেক রকম পরাজয় আমার,
একেকটি অঙ্গে একেক রকম ভাবে পরাজিত আমি,
ঠোঁটের আর চিবুকের পরাজয় ভিন্ন,
বুকের পরাজয়, চোখের পরাজয়ে কোন মিল নেই,
মসৃণ শরীরে পরাজয় কখনো আটকায় না,
ঘামঝরা বগলে পরাজয় বাধা পাই না।


তোমার উজানি স্রোতের বহ্নি ছোবলে, পথ হারিয়েছি,
তোমাকে যে ভালোবাসি, তা আমার পরাজয়ের গান,
তোমাকে যে ভালোবাসি, তা আমার পরাজয়ের কবিতা।
তোমার আমার দুই জোড়া ঠোঁট যতই ব্যস্ত হয়ে ওঠে,
পরাজয়ের দারপ্রান্তে ততই আমার বিজয়ী বেশে ছুটে চলা।