নিজেরই প্রতিবিম্ব অচেনা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছে,
রোজ রোজ অন্ধ গুহার সমীপে ব্যর্থ আবেদন নিবেদন,
কিসের আশায় গুপ্তধনের খোঁজ,
নিজের চোখ নিজেকে ফাঁকি দিয়ে যায়,
অতৃপ্ত আত্মায় নিজের অবয়ব স্পষ্ট হয়ে উঠে।
এইভাবে নিরবে বয়ে যাচ্ছে সময়,
আলোর বিপরীতে চলা স্বভাব জেগে থাকে,
দিশেহারা হয় প্রচন্ড এক সর্বগ্রাসী নেশায়,
জীবনের পাত্রে কি? ভুলে যায়,
সঞ্চয়ে যত আছে বিষময় লোভ,
ভারী হয়ে আসে জীবনের শেষ বিকেলে,
নেমে আসে গ্রহণের কাল,
কেন মানুষ মৃত্যুর আগে জন্মকে মন্দ বলে?
কে জানে এই উত্তর?
অন্তরে দহন, ভিতরে বাইরে গ্রহণ,
পাপ মোছ, না হয় বড় হয় ক্রমে ক্রমে,
জীবন-মৃত্যুর সেতু ভেঙ্গে পড়ে, কখন, কোথায়, কে জানে?