স্বাগতম, হে দীর্ঘশ্বাস,
এই কার্তিকের নবান্নের দেশে,
আমরা রবীন্দ্র নজরুল বেশে,
তোমাকে স্বাগতম।
আমাদের সময়, আমাদের সংস্কৃতি,
বড় দুঃসময়ে কাটায় দিন,
খর খুটো ছুঁয়ে বেঁচে থাকে ফেরারি দুঃসহ জীবন।
উম্মাদ,কিম্ভুত,বিভ্রমে শান্তির মিছিল দেয় নব্য ফেরাউন,
চারদিক জ্বলে পুড়ে অঙ্গার,
চির নিদ্রায়ও শান্তি নেই,
শাসকের ছায়া, শোষকের মায়ার দূরত্বের কোন ব্যবধান নেই,
নেই কোন অনুভূতি,সবই আলোয় জেগে উঠা আদিম সংস্কার।
অপরাহ্ন সেই কখন শেষ! শেষ বিকাল এই তবে,
চিরচেনা দুই পায়ের পাশাপাশি অপরিচিত দুই পথ,
রাজপথ মুখরিত নাগরিকের রক্তে,ভুল স্লোগানে,
নিঃশ্বাসে পোড়া মাংস,বারুদের গন্ধ,
তোমার স্বার্থপর প্রেমিকের সাজানো আয়োজনে,
তুমি নীরব কেন? হে স্বদেশ।
আজ ঋতু বিদায়ী জলে নিঃসঙ্গ আমরা,
আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস ঝুলে আছে অবহেলায়, অনাদরে,
আমাদের নিবু নিবু মুমূর্ষু জীবনে আজ ওষ্ঠাগত প্রাণ,
শান্তি-সুবাতাস চেয়ে বিদ্বেষ ঘৃণার অস্ত্র আমাদের আছে শুধু দীর্ঘশ্বাস।
তবুও সুনাগরিক ভালোবাসা অভিনয়ে, চেতনার অবক্ষয়ে
অন্দর থেকে বন্দরে,দলবদ্ধ জীবনের পথে,
পরম যত্নে হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠে,
স্বাগতম, হে দীর্ঘশ্বাস,স্বাগতম।
যদিও আজকাল তোমার জন্য আমার দেশে আমাকে শৃঙ্খলে বন্ধি হতে হয়।