আমার আঠারোতে জেনেছিলাম তোমার ত্বকের স্বাদ,
বিনা সুদে উশুল হয়ে যায় অকৃত্রিম মাটির উঠোন,
তোমার আঠারো গোপন চোখে তাকিয়ে রয়,
রৌদ্রের খরতাপ ভীত পায়ে পাড়ি জমায় আপাদমস্তক,
আঠারো শতাব্দীর অন্ধকার জ্বরে কেঁপেছিল তোমার বুক।
তোমার আমার কী হয়েছিল! মৌলবাদী ভালোবাসায়
সময়ে অসময়ে, অপ্রাসঙ্গিক আলোয়, অন্ধকারে
দিন রাত্রির তলদেশ ভেদ করে কর্মহীন দু’জন
কি খুঁজে খুঁজে কাটিয়ে দিত বেলা।
ঝাপসা হয় চোখ, স্মৃতিরা লুকোয়,
টেবিলচেয়ার, ঝুলন্ত বারান্দায় আঙুলের ছাপে নিঃসঙ্গতা আছে,
নোনা জলের বেদনা, অহঙ্কার  সবই আছে,
শুধু সেই শব্দের স্পর্শটুকু নেই।
সন্নাসীর ত্যাগে আজ আকাশের সঙ্গ মিলেছে,
মিলেছে বিষণ্নতা, অন্তরের আরতির আগুনে মিলেছে নির্জনতা।
আমাকে ক্ষয়ে যায়, তবুও রেখে যায় অবশেষ।
আঠারো আটাশ হল, আটাশ আঁটত্রিশ হবে,
আটষট্টি’র কোন এক রাতে রূপের দানী খুলে ঠোঁট রাঙ্গাবে,
উষ্ণ প্রস্রবণে গোপন করবে বিষাদের বিফল দিন গুলো
আঠারোর বুক খুলে দেখো তোমার কাছে গচ্ছিত রাখা ফুলেল আঁচড়,
আমি তো আটাশে পেয়েছি প্রণয়ের দারুণ আকাল,
ভালোবাসার পাশে শুয়ে থাকা হিংস্র সব রাত্রি,
ছাই ভস্মে মাখা নির্বাসিত জীবন।