তুমি মানে শূন্য বুকে দগ্ধজমিন,
ভালোবাসার বীজে দারুণ ক্রোধ,
সভ্যতাকে গিলে খাওয়া অশ্লীল দু’টো চোখ,
তুমি মানে সূর্য উদয়ে শুদ্ধপ্রেমের প্রস্থানে,
বুকে নিয়ে ব্যাকুল কিছু আগুন,
ফের দাঁড়ানো প্রণয়ের আকাল শোক ।


তুমি মানে স্বাধীন প্রেমের নোংরা শেকল,
কণ্টকী দু’হাত উজার করে জড়িয়ে ধরা বুকে,
সহাস্য নদীর বহুদূর শেষে একলা আমি কাতর,
তুমি মানে শরীরভেজা দ্বিমগ্নতায়,
কালের মন্দিরে নষ্ট লগ্ন গুছিয়ে রেখে
ছায়াহীন পথে এক বুক ভরা কষ্ট দেওয়া পাথর।


তুমি মানে কষ্টের নোনাজলে জন্মানো শ্বাসমূল
অবলীলাক্রমে মৌল ব্যবধানে অপরিনামী প্রেমে,
মনে না রাখা স্মৃতিচিহ্নে সুখ দুঃখের উপাখ্যান।
তুমি মানে ঘুমহীন জাগরণে একলা আমার প্রহর
দুঃস্বপ্নের ঘোরে, এই পৃথিবীর মাটি জলে নীলে,
অসমতার জীবন যাপনে কুনিশাচর ধ্যান।


তুমি মানে আমার ফেরারি মনে
চোখ-বাঁধানো গোলক ধাঁধায়,
নষ্ট দিনের নষ্ট কিছু বীজে,
তুমি মানে দূরে সরে যাওয়া সোনালি দিনগুলো,
অসময়ে ভয়ার্ত অন্ধকারে,
নিভু নিভু দীপ হাতে, নিজের খোঁজে নিজে।


তুমি মানে, তুমি মানে......
তুমি মানে আর কিছু না, মিথ্যা কিছু ছোঁয়া,
তুমি মানে হিয়ার মাঝে রোগ জাগানো
নিঃশ্বাসেরই সঙ্গী হওয়া নিঃসঙ্গ ধোঁয়া।