রাত্রি আমার কখনো দুঃখী হয়না, আমাকেই দুঃখী করে,
উন্মাতাল অমাবস্যায় অধঃমুখে ফিরে গেল পূর্ণিমার বর্ষণ,
অবিরাম প্রবল বাতাসে অধীন নতমুখে আমার একলা আকাশ,
আমায় ক্ষমা করো, আমাকে বলে দাও, এর বেশী দুঃখী কিভাবে হব!


হাজার বছরের ঋণ কালসময় থেকে,
গত শতাব্দীর মৃত্যুযন্ত্রণায় যেসব ভালোবাসা কাতর হল,
স্বচক্ষে মহানির্বাণের অবিরত অশান্তির বিনির্মাণে
আমার পরাজয়, আদি থেকে অন্ত,
তোমার হৃদয়ের প্রত্নতাত্তিক বাসরে দাঁড়ায়ে রয়েছি,
আরও পরাজিত হতে চাই, কিভাবে হবো?


আজ এই অন্ধকারের উপাস্যে শিথিল হয়ে যায় সব বাঁধন,
জীবনের আবছায়া ঊর্ধ্বে দীর্ঘ হতে থাকে,
আজ ভোরে অনুভব করেছি ক্রমশই বেড়ে যাওয়া অব্যর্থ নির্যাস,
আগামীর নদীতে জলের বন্দোবস্ত করে থেমে যেতে চাই,
কিভাবে থামব, বলে দাও,
আর কত রাত দুঃখী হলে নিঃশেষ হবো, বলে দাও।


ছড়িয়ে দাও দ্বিধা, ছিটিয়ে দাও যত দন্ধ,
জ্বালিয়ে দাও সবুজের মুগ্ধ হাসি,
সর্বভূক প্রেমে দুপুর সন্ধ্যা নিশীথে,
আমার শরীরে জেগে উঠা নিষিদ্ধ আলিঙ্গনে
আমার জীবন খেয়ে তোমার শরীর সযত্নে লালন কর,
শুধু যত্নে রাখো নিজেকে,সব ভালোবাসার জল ওখানেই।


ললাটে মেখে থাকা রক্তের প্রানে,
এই যে দ্যাখো শরীর বেয়ে নামছে
কারুকার্যময় কান্না।
নক্ষত্রের মানচিত্র ভুলে তোমার হৃদয় দেখার জন্য
তোমার কণ্ঠে, স্পর্শে কান্না খোঁজার চেষ্টা করেছি,
আমি কাঁদতে পারিনা, বড়ো সাধ আমার, আমাকে কান্না শিখাও।


আজ রাতে আর কিছু নয়,
আমি তোমার প্রেমের,চুম্বনের বুভুক্ষ জমিনের,
অপার্থিব আলিঙ্গনের, নষ্ট অনুভবের মিথ্যা আকাশটার পানে চেয়ে বলি,
এই ভালোবাসা আমার,
এই প্রেম শুধুই আমার,
সবসময়ই  আমার।
যদিও তোমার ছিল, তবে ক্ষণিকের জন্য।