আর একটা দিনও নয়, নয় একটুকু ক্ষণ
তোমার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারব না,
তুমি চলে আসো।
দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছু মোকাবেলা করতে হয়,
মা'র বকুনি, বাবার রক্ত চক্ষু, ভাইয়ার কুকথা,
ছোট্ট বোনটার টিটকারি সব কিছু,
তোমার কারনে পাশের বাসার কাজের বুয়াটা,
আমাকে দেখে দাঁত বের করে খিলখিলিয়ে হাসে।
রাষ্ট্র করেছে দোতলার ভাবী,
সেদিন কলেজে যাওয়ার সময়
পাড়ার ছেলেরা পিছন থেকে চিরকুট ছুড়ে মারে।
চা দোকানের বেয়ারা ছেলেটা পিছন থেকে যা বলেছে,
মুখে আনা কিংবা কানে শুনার মত নয়।
তুমি চলে আসো।
আর একটা দিন নয়, নয় একটুকু ক্ষণ
তুমি চলে আসো।
স্যারের বাসায় ব্যাচে পড়তে গিয়ে,
সবার আড়ালে স্যার আমাকে ডেকে আলাদাভাবে যত্ন নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
আমি তো অন্য দশ মেয়ের চেয়ে আলাদা নই!
শুনে বান্ধবীরা এখন আমার নিকট থেকে পাশ কাটিয়ে চলে।
গ্রামের বাড়ী থেকে কালু চাচা এসেছে কয়েকদিন হল,
মুখ ভর্তি পান মুখে নিয়ে পিক ফেলতে ফেলতে
মা'কে যা বলল,
চ্যাঙরা ডাঙর জোয়ান ছেরিটারে বিয়ে দেন না কেন?
আমার কান লাল হয় আসে,
আমার মাথা ঝিম ধরে যায়,
অপমান, তিরস্কারের জ্বালা, মেয়ে হয়ে জন্মানোর পাপ এগুলো আর নয়,
তুমি চলে আসো
আর একটা দিনও নয়, নয় একটুকু ক্ষণ।
আমার ভালোবাসার দিব্যি তোমায়,
তুমি চলে আসো।
তুমি চলে আসো।