"শ্রদ্ধাঞ্জলি-01"
(প্রিয় কবি দিলীপ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় আমার লেখা কবিতার ভূয়ষী প্রশংসা করলে তার সম্মানে লেখা)


তোমাদেরই আশীর্বাদে পাল তুলে দি তুফান নীলে,
ভাসতে জোয়ার দুখ ধরা ভব-আর হলাহল
কন্ঠে গলে।
তোমাদেরই ভালোবাসায়-সিক্ত কলি ধন্য ভবে,
শিশির ভেজা স্নিগ্ধ পরশ-দোল খেলে যায়
অনুভবে।
কবিতারই এই ভুবনে প্রাণ মিলে দি গানে গানে,
গগন তারায় মিলতে আঁখি-আঁধি কিবা ঝড়
তুফানে।
অনেক ব্যথা অনেক কথা নিরব কলি হৃদ মাঝারে,
জর্তুগৃহ সংসারেতে ঝরতে আঁখি বরং-
বারে।
সেই ভুবনেই ধন্য যে রই সিক্ত কলি ভালোবাসা,
প্রেম দুয়ারে ঝরাই লোচন-আর কিছু নাই
মনের আশা।


(প্রিয় কবি নাসিরউদ্দিন তরফদার (অনুব্রত কবি) মহাশয় ফোনে আমার লেখা কবিতার ভূয়ষী প্রশংসা করলে তার সম্মানে লেখা)


"শ্রদ্ধাঞ্জলি-02"


বন্ধু তোমার কলটি আমার-হৃদয় তরঙ্গতে,
ঢেউ খেলে যায় শরৎ যেমন, ঢেউ খেলে
ওই কাশের ক্ষেতে।
যেমন বারি কিষাণ মজুর-মাতিয়ে রাঙা আনন্দেতে,
বীজ বোনে ধান নুপুর নুপুর-পায়েল বাজে
সবুজ ক্ষেতে।
শুভ্রতারই ছোঁয়াচ দিলে হৃদয় দিলে বেটে,
শ্বেত শান্তি কপোত বাণী-রাঙিয়ে রাঙা
ঠোঁটে।
লিখতে গাথা আনন্দেরই-দুঃখ বেদন সুখ,
রাখব ধরে হৃদয় দ্বারে-স্বর্ণ কমল
মুখ।
সেলাম জানাই বন্ধু তোমায় হৃদ তোমারই কোমল কলি,
মহানতায় বাঁধলে যে প্রাণ-
ও পরাণের
বুলবুলি।


"শ্রদ্ধাঞ্জলি-০৩"
(আসরের সকল শ্রদ্ধেয় কবিদিগের প্রতি নিবেদিত)


দিব্য জ্যোতি স্নিগ্ধ কায়া জড়িয়ে লতায় পাতায় শাখে
জীবন নদের তপ্ত গহীন রক্ত লহুর
আঁকেবাঁকে।
পথের নিশান ধূল ধূসরিত ঝঞ্ঝা তুফান বায়ে,
থমকে দাঁড়াই চমকে উঠি-বল পাইনে
পায়ে।
বিষ বেদনে কাতর প্রাণে চাতক চাহে বারি,
ঘাত প্রতিঘাত শঙ্কাতে প্রাণ-সইতে না সই
পারি।
করাল ছায়ে প্রাণ বিছায়ে দিচ্ছে কৃপাণ শান,
দিচ্ছে ছোবল দিচ্ছে প্রবল লকলকে
গনগন।
তরতরিয়ে থরথরিয়ে দৌড়ে ভেগে চলি,
নাই রে নিশান পথের দিশা-গুপ্ত রাজের
গলি।
সুপ্ত ব্যথা প্রাণ কেড়ে নেয় নিনাদ রবে তুলি,
সব ভুলে যাই স্নেহের পরশ-তোমাদেরই
বুলি।