“সোনার মাটি”


বায় বাঙ্গাল বাসতে ভাল থাকনা যতই খামতি
অনেক ভাল ধন্য ধরায় তোমার আমার গ্রামটি,
ধন্য শহীদ বাংলা ভাষার
গর্ব হৃদে লাঙ্গল চাষার,
মরতে পারি জানটি দিতে, বাংলা আমার সোনার মাটি।


"যেমন কর্ম তেমন ফল"


তালপুকুরে ডুবল কানাই কুদব কেনে জলে
সর্দি কাশি লেগেই আছে হয় যদি তার ফলে!
রাস্তা রোকো মিছিল সে দিন
নাচতে গিয়ে তা ধিন ধিন,
বোমার ঘায়ে পা'টা জখম, কেউ না কোলে তোলে!


ধ্যুৎতারিকা মানুষ না'কি! খেয়াল কারো নাই
দেখতে কী-পায়না রে কেউ, কেমন যাচ্ছেতাই!
হটাৎ আকাশ রব কেনে দেয়
শুনছি রে ভাই ডানে বায়,
সেদিন কেনে ডুব দিলি না, জামা কাপড় ভিজবে তাই!


“বিরহের গান”


প্রিয়া তোহে হৃদ দিনু, প্রনয়ি আবেগে
সঁপিলাম মনপ্রাণ ভেসে গেনু স্রোতে
প্রেম ভাব জাগরিত তীব্র ভাবাবেগে
সঁপিলাম মন প্রাণ তোহা প্রেম ব্রতে।
অকূল পাথারে মরু মরীচিকা সম
গহীনো প্রেমেতে সিক্ত, পারিজাত কলি
ফুটেছিল হৃদয়েতে বাসনাতে মম
সানন্দে বহিতে প্রেম বাসনাতে চলি।


প্রেমের সাগরে ডুবি হাবুডুবু রব
কণা সম নাই বারি, পিপাসিত প্রাণে
চাঁদ সম বদনেতে, নোনা কলরব
হৃদয়টা কলুষিত বিরহের গানে।
ভেকধারী গিরগিটে হরা ভরা আজি
শতধায় বিকশিত প্রাণ হরা কাজী।


"শহুরে বৃষ্টি"


অনেক না তবুও তো ছাদ টুপটুপ টুপ জল পরে
এক্কেরে ভাই সত্যি বলি ড্রেসিং রুমের অন্দরে!
বালিশ টালিশ টইটুম্বুর
জলে ভিজে থইতুম্বুর,
জায়ার রোষে পরান ভাসে, ভারত সাগর বন্দরে।


“জলাতঙ্ক”


ঘোর আতঙ্ক যেন জলাতঙ্ক জল জালিয়াত খেলা,
রঙবাহারীর আবির গুলা, প্রাণে জাগায়
দোলা।
দোল দোল দোল দুলুনি বিজ্ঞাপনের নলিনী,
ঢাক ঢোলেতে রঙ্গবাহার, ছল চাতুরির
কাহিনী।
বাপের ধনের শ্রাদ্ধ দিতে কি'বা স্বামীর প্রাণ,
নয়ানজুলি খাদের তরেই-আরাধনার
গান।
গান রে বাপ, গান!
জীবনধারা তরল গরল আধুনিকের জমানাতে,
পান্তা ভাতে ভুতো মরে, বিজ্ঞাপনের
সেই খাতে।
না বাপু না আর যাব না ছাদনাতলায় ঐ,
লিখতে গাথা চরম গরম, ধরতে
উড়ো খই।


“বিপ্রতীপ”


শ্রেষ্ট মানব ধরম করম সৃষ্টি তাহে বিপ্রতীপ
জ্বালায় ফুনুস ওড়ায় ধরায় জ্বালতে জীবন
সোনার দীপ।
দীপক রাগে রক্ত ঝরে অশ্রু ঝরে ব্যথা
দগদগে ক্ষত মানবতার-দুঃখ অনেক
গাথা।
ছল চাতুরি হিংসা দ্বেষ জর্জরিত প্রাণ
রক্ত ঝরা লোহিত বরণ
দুঃখ নিকেতন।
এপার ভাঙা ওই কূলেতে স্বর্ণ মহল গড়া
দীন দুঃখী এই পারেতে-সুখ সায়েরী
হরা।
মা'গো তোমার চরণ কমল আর না ফোটে কলি
ভাতৃহরা গৃদ্ধ তারা-বাদ নাই কোন
গলি।
বাঁধ ভেঙেছে আজ যে মাহী শক্তি দিও ভুজে
লড়ব মাগো গড়ব মা'রে-থাকব না
মুখ বুজে।


“চাপ”


চাপে চাপে দমবন্ধ বাঁচব কেমন করে
ঘরে চাপ বাইরে চাপ চাপের বাজার, ওরে!
তা থই থই নৃত্য নাচে
কেমন করে জীবন বাঁচে,
ফাসির দড়ি দে না মা'রে, প্রাণটা দিব বেঘোরে।


“প্রেমের গাঁথা”


ধন্য ধরা ধন্য রবে-সুর তুলে সই-ক……ই,
বাঁধতে তোমায় প্রেমের গাঁথায়;
জাল বুনে সই-র…….ই। জাল বুনে সই র……..ই।
ফাল্গুনে রব বীন বাজিছে-মঞ্জিল নয় দূ……র
বিহগ কূজন ধন্য ধরায়;
ভালো…….বাসার সুর। ভালোবাসার সু………….র।
রোদ দূর দূর কৃষ্ণচূরায়-লাল আগুনের শিখা……..,
দূর করো দূর -দূর করো সই;
আঁধার তমানি……….শা। আঁধার তমানি..শা।
ঊষার আলোক আজ প্রদীপে-মঙ্গলদীপ জ্বালো……,
উষ্ণ প্রেমের প্লাবন গাঙে; জ্বালিয়ে প্রাণের
আলো……। জ্বালিয়ে প্রাণের আলো……।
রঙ গুলাবী ওষ্ঠধারায় সিক্ত প্রেমের কলি…….,
আলিঙ্গনে আজ ভুবনে-গাই সে
কথাকলি……..। গাই সে কথাকলি………।
ফাল্গুনে রব বীন বাজিছে-মঞ্জিল নয় দূ……র
বিহগ কূজন ধন্য ধরায়;
ভালো…….বাসার সুর। ভালোবাসার সু………….র।
ধন্য ধরা ধন্য রবে-সুর তুলে সই-ক……ই,
বাঁধতে তোমায় প্রেমের গাঁথায়;
জাল বুনে সই-র…….ই। জাল বুনে সই র……..ই।


“মা”


মাতাল হাওয়ায় মাতল এ মন দু এক প্যাগ হবে না'কী
বাড়ছে যে রাত আনচান মন-নেশার প্রদীপ জ্বালবে কী!
এক গলা মাল খাব দুজন
স্বপালু রাত ফিরব ভবন,
চলো দেদার খেয়েই দেখি, বউ আজ মা হয় না'কী!


আরে দাদা, বলার সময় ওই রকমই বলতে হয়
খাবার বেলায় এক দু'প্যাগ দশ বারোতে গতি পায়,
থাক সে কথা, খাবেন কী
আনব বোতল খুলব ছিপি,
এক বুক জল পাহার প্রমাণ, দেখব না আজ ডানে বায়!


আহা! আর এক প্যাগ মারলাম ভাই কাব্য গাঁথার গুনে
বউকে মা ডাকছি রে ভাই, পাও কী এলেম কানে!
ধুত্তেরি সব তালগোল!
দুলছি বসে ঘুরছি গোল,
দেখতে কী পাও, জায়া তোমার-ঝাড়ু হাতে আসছে পানে।