"মহান"


বৃক্ষ মহান বৃক্ষ জীবন-বৃক্ষ গড়ে শ্যামল হরা
ফুল মূল দেয়, খাদ্য খাবার-প্রাণ বায়ুতে ভরতে ধরা।
বৃক্ষ নিধন প্রাণ অবসান
শ্যামল ধরা হতেই শ্মশান,
শোন রে দানব কাটিস নে ভাই, চল গড়ি চল মনোহরা।


“চপ্পল”


(ছোট ছোট জিনিস ছাড়া আমরা সুশোভিত হতে পারি না, তেমনই ছোট ছোট নগন্য মানুষই তাদের ছোট ছোট অবদান না দিলে আমরা ঠিকভাবে বাঁচতে পারি না, তবে তাদেরকে আমরা পদ কুচলিত করি অহরহ। এটি একটি রূপক কবিতা তাই কবিতার সারাংশ খুব ছোট করে বোঝবার জন্যে দিলাম)
(কবিতাটি পদ্যছন্দ ও গদ্যছন্দের সংমিশ্রণে লেখা।)


চরণ বিলাসি সে যে প্রেমের পিরিতি
দু পদে ঠাসা বেশ,
অনেক যুদ্ধে ক্ষয়ে ক্ষয়ে অবশেষে
নিঃশ্বেষ।
চপ্পল! হায় রে ঘষে ঘষে যায় প্রাণ,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে সোল ব্যথিত বক্ষে
জীর্ণ আভরন।
আমি জুতো চকচকে মোর চাম,
তোমার চরণ যুগল আমার
ধন্য আমার ধাম।
আমি জুতো তোমায় সুশোভন করি পা'য়
তুমি কী আমায় পদচালনায়
বক্ষেতে স্থান দাও।  
সে গান গাওনি কভু, হীন করেছো পদতলে,
আঁচলে তোমার ধন বহিয়াছে বহু,
লহু শত বয়ে যায়
আমার অন্তরে।
আমার বিনেতে সুশোভিত নও তুমি;
তাও কী ভাব কভু,
পদতলে তোমারি কুচলিত আমি
হৃদয়ে বহিছে
লহু।


“গরিব”


ঢাক গুর গুর বাদ্যি দাদা বাজান কেনে শব্দগুণে
গরিব জনায় হৃদ দুর দুর-কোন ধনীজন কানে শুনে,
নদীর ধারা যেমন চলে
মিলতে সাগর অতল জলে,
ঠিক তেমনই গরিব শির, মিলছে ধনীর পদ চরণে।


যতই হোক ব্যঙ্গ লেখা আর সে অনেক ফিরে দেখা
কাঙাল মানুষ তার গতি নাই যতই হোক লেখা ঝোকা,
আমির কুমির কাঁমরে বেড়োয়
শীত বসন্ত বর্ষা গড়ায়,
আসবে সুদিন আসবে সে দিন, যবে তারা-রবেনা বোকা।


“চাঁদমামা”
(ছড়া কবিতা)


চাঁদমামা তালগাছে
দিল ওই হামা যে,
আলো তার ঝলমলে
মখমলে দিল
সে।


আঁধারেতে টুপ টুপ
যেন কালো দত্যি,
মিছে কথা নয় খুকু
একেবারে
সত্যি।


ঝুম ঝুম পায়েলেতে
কে'বা যেন নেচে যায়,
ঘুম ঘুম তন্দ্রাতে
খুকুমনি শুতে
চায়।


তাড়াতাড়ি চোখ বুজো
যদি ছুটে আসে ঘরে,
মটকাতে ঘারটাকে
স্যুট করে ঢুকে
পরে।


“বানভাসি”


বানভাসি প্রাণ গুলি গুটি গুটি চলে যায়
শ্রাবণের বারিধারা অঝোরেতে ঝরো বয়।
আর পথ জলভরা হাটু জল তাতে
বঁধু আজি গৃহহারা নাই দুধেভাতে।


মাছরাঙা পাখিগুলি অজয়েতে মাতে
বক তায় সারি দিয়ে মাছ তোলে ঠোঁটে।
মাঝি তার ডিঙি নাই অজয়ের চরে
বাজারটা থই থই আছে জলে ভরে।


একতারা বাজে নাকো সন্ধ্যার কালেতে
বন্যায় ভেসে প্রাণ দুখ রেখা ভালেতে।
কচু খোজে দুখু মিঁয়া খাবারের কিছু নাই
উঁচু রেল পথে ভাই জঙ্গলে রোশনাই।


ত্রাণ আসে জলযোগে কিছু মিছু যদি পাই
ভিড় ঠেলে আগুয়ান যদি কিছু পাই ভাই।


“একাত্মা”


"গাছ আর পাখি যে একাত্মা,
সুখের নীড়ে সাগর সম-
বৃক্ষ শাখই
মা"


আয় না ত্বরি বক্ষে ধরি নীড় সে গড়া বুকে,
রইতে সাথে বইতে সাথে
দুঃখ এবং
সুখে।