“শ্রদ্ধাঞ্জলি”


এই মণিহার কোথায় রাখি, এই মণিহার কোথায় রাখি;
বহ্নিদাহে জ্বলছে ধরা, ছল ছলনার গুপ্ত ঘাঁটি
কাঁদছে রে প্রাণ কাঁদছে পরান
সুর তুলে গান গাইতে
পাখি,
এই মণিহার কোথায় রাখি, এই মণিহার কোথায় রাখি;
এই মণিহার কোথায় রাখি।


সব পেয়েছির এই আসরে-তোমাদেরই ভালোবাসা
আর না কিছু চাই গো সখা-নাই কিছু আর
মনের আশা।
নাই কিছু আর মনের আশা।


দিপ্ত রবে সুর তুলে গাই-মানব প্রেমের ইতিকথা,
বাঁধতে তোমায় বাঁধতে সবায়; হৃদ মননের
সাম্য গাথা।


আকাশ প্রদীপ জ্বালিয়ে শিখা, সুর ধরি তাল গানে,
প্রেমের ভ্রমর গাইতে কলি-তোমার
অবদানে। তোমার অবদানে;


ভবসাগরে অনেক ব্যথা বইতে নারি প্রাণ,
শঠ শঠতা কপতটা-জড়িয়ে রে হৃদ
মন।


তাহার মাঝে আসর রাজে ভুলতে পারি ব্যথা,
তোমাদেরই ভালোবাসায়-লিখতে চলি
গাথা।


গুঞ্জনে প্রাণ বইতে রে সই পাখির সুরে গাই,
স্নেহের পরশ সিক্ত কলি-প্রেমের পরশ
পাই।


আর দখিনা মলয় বাতাস অঙ্গে তোলে ঢেউ,
ডাকছে রে সই আসর মাঝে;
ডাকছে রে সই কেউ।


অশ্রুধারায় প্রাণ বয়ে যায় প্রেমের সে ডাক শুনি,
ফাল্গুলে প্রাণ কৃষ্ণচূরায়-লাল আগুনের
বেণী।


বীণায় বাজে ঝঙ্কারে সুর দিপ্ত সে রব তুলি,
আর দুখেরই অনেক ব্যথা
নিমেষ মাঝে ভুলি।


দিলেই যদি এই মণিহার হারাই মনের খেই,
সালাম তোমায় বক্ষে আমার
শীতল পরশ বই।


এই মণিহার, এই মণিহার,


এই মণিহার কোথায় রাখি, এই মণিহার কোথায় রাখি;
বহ্নিদাহে জ্বলছে ধরা, ছল ছলনার গুপ্ত ঘাঁটি
কাঁদছে রে প্রাণ কাঁদছে পরান
সুর তুলে গান গাইতে
পাখি,
এই মণিহার কোথায় রাখি, এই মণিহার কোথায় রাখি;
এই মণিহার কোথায়
রাখি।