“জেলো খেলা”


তরঙ্গ রাশি জলে আলো তারা খেলা করে.
অজয়েতে প্রাণে মেতে-জল টেনে
আনে দোরে।
গেল গেল রবে সবে রাম নাম জপে স্বরে,
নয়নেতে বারিধারা; ভেসে গেল
সবই তোড়ে।
নদীটাই উচ্ছল যেন প্রাণ ওঠে জেগে,
শ্রাবণের বারিধারা-তোড় বানে
বহে বেগে।
দুই পার ভাঙে তার উর্মির স্রোতে মেলা,
জলোধারা অজয়ের করে যেন
জেলো খেলা।
অশান্ত নন্দিনী ছিল কালে বন্দিনী
আজি প্রাণে মাতোয়ারা ছলো ছলো
প্রবাহিনী।
আনন্দে কলো জলে উর্মিতে বহে চলে
হিল্লোলে মেতে প্রাণ-আজি হয়
গরবিনী।


“ক্রন্দন”

ছোট্ট বাহু ছোট্ট শিশু অঝোর শ্রাবণে
মুষ্টি বাড়ায় শূন্যেতে; আর্ত আবেদনে
প্রাণের আধার চায়; তারি নিবেদনে,
ভব সাগর পারাবারে অকূল প্লাবনে।
শিশু সে'যে ভাবে ধরা শান্তি নিকেতন
উব্ধে নভঃ নিম্নে ধরা কুহু কলতান
শান্তি স্নেহ প্রীতি প্রেমে কাটবে জীবন;
তারি লাহি অশ্রু বহে ব্যাকুল ক্রন্দন।


কালে কালে বড় হলে জানিতে পারিবে
ভব নদী পারাবারে শুধুই ক্রন্দন
প্রেম প্রীতি শূন্য ধরা নহে অভিরাম,
সেই শোকে মূহ্যমান হৃদয় গড়িবে।
কালে কালে যুগে যুগে করাল কুপিত
তারি মাঝে ধন্য ধরা প্রহর যাপিত।


“মতিচূর” (রম্য রচনা)


মতিচূর নদীয়ার খেতে বেশ লাগে ভাল
তাঁত শাড়ি বিখ্যাত জমকালো সাদা কালো।
সড় ভাজা পাওয়া যায় আর কিছু আগে গেলে
রেলগাড়ি হকারের সড় ভাজা
গোলমেলে।
হই হই করে সব গেল ভাই পিকনিকে
মাল খেয়ে টাল কালু চালাবে কে গাড়িটিকে?
হায় হায় রব তাই বেলা বেশ পরে এলো
হাতিগুলি হাঁক দেয় শিয়ালেতে
ডাক দিল।
শেষমেষ মতিচূর খেয়ে তার হুষ এল
তারি সাথে সড় ভাজা, যাক বাবা
বাঁচা গেল।


“ঢুলি”


চুরা না শোনে ধর্মের কথা কও কেনে রব তুলি
রঙ বাহারীর রঙ্গ গুলাব তাও ভরে না ঝুলি,
বুলবুলিতে খাইলে ধান
কৃষক চাষার যায় যে প্রাণ,
তাই বলে কী রাজ হুকুমত, পরবে না তার চোখে ঢুলি!


“শক্তিপুঞ্জ”


শক্তিপুঞ্জ সমুজ্জ্বল ভক্তি ধরে দেশ
স্বাধীনতা আহরণে প্রাণের
সন্দেশ,
ধন্য সে বীর ধরলো তাহে স্বদেশীর বেশ
ধন্য ক্ষুদি ধন্য মাতা অগ্নি জ্বালে
দেশ।


“বাপুরাম সাপুরে”(রম্য রচনা)


বাতুলতা কর কেনে দেখ ওরে বাপুরে,
মঙ্গলে চড়ে যানে বাপুরাম
সাপুরে।
ওরে বাবা দেখে যা লাথালাথি ঢুঁসো টা
মিসাইলে লেখা নাম শক্তির
ভান্ডটা।
কম খাওয়া ভাল অতি আধবেলা আরও ভাল
যোগ ব্যায়াম করে যাও সিন্ধুকে
পুঁজি তোল।
চাঁছাছোলা বাক্যিটা ভাল বুঝি লাগে নাই,
খেয়ে পরে কী'বা পাবে মৃত্যুতে
রোশনাই।
বাপু তুমি ঘরে যাও মারামারি করে খাও
কেনে বাবা কবিতায় জনগনে
ভরকাও?