আজ কবিতা বিহীন একটি দিন
আশ্চর্য! একটা কবিতাও লিখতে ইচ্ছা করে নি আজ তবে
থেকে থেকে রক্ত লহুতে আগুনের স্রোত বইছিল যখন
বাজার অর্থনীতির প্রথম পর্বের পাঠ নিচ্ছিলাম ইন্টারনেটে আর
জানতে পারছিলাম কিভাবে এখনও তাবৎ বিশ্বকে লুণ্ঠন করে যাচ্ছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিভাবেই বা ইরাক ইরান আর সিরিয়ার মত দেশকে
কুক্ষিগত করে মধ্যপ্রাচ্যের তেলের ভান্ডার লুটে নিচ্ছে তারা।
কিভাবে বিশ্বের সমস্ত দেশ কে বাধ্য করেছে দেশের সম্পদ
সোনার বদলে মার্কিন ডলারে ভান্ডার মজুদ করতে।
পৃথিবীর আর কোনও দেশ কেন পারে না নিজেদের ইচ্ছামত
কারেন্সি ছাপাতে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ
যারা ইচ্ছেমত বৈদেশিক ঋণ নেয় দেশের অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা
বজায় রাখতে আর ঋণ শোধ করতে হলে ইচ্ছামত
ডলার ছাপিয়ে সে ঋণ শোধ করে দেয় অথচ তাদের দেশে
মুদ্রাস্ফীতির তেমন তারতম্য হয় না সারা বিশ্বে বিপুল পরিমাণ
ডলারের চাহিদার জন্য। তাই ডলারের মূল্যের কিছুই হেরফের
হয় না যেহেতু বিশ্বের সমস্ত দেশ সোনার
পরিবর্তে ডলারে সঞ্চিত রাখে তাদের সম্পদ। ডলারের তাই
চাহিদা আর যোগানের মধ্যে থাকে বিস্তর ফারাক।
মোদ্দা কথা হলো বিশ্বের আর সব দেশ নিজেদের ইচ্ছামত
কারেন্সি ছাপালে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি হবে তাতে আখের
দেশের ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই হবে না। অথচ মার্কিন দাদাদের দেশ
তাদের ইচ্ছামত ডলার ছাপালেও তাদের অর্থনীতিতে কিছুই প্রভাব
পড়বে না। ইরাক ইরান সিরিয়ার মত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ
মার্কিন দাদাদের আর তাঁবেদারি সহ্য করতে চায় না।
যেদিন মধ্য প্রাচ্য থেকে দখল হারাবে আমেরিকা সেদিন...
সেদিন মুখ থুবড়ে পড়তে হবে তাদের।
সেদিন আর খুব একটা বেশি দেরি নেই।
ভাবছিলাম সত্যি কি আমরা স্বাধীন না কি এখনো
সেই তাঁবেদারি করে চলেছি মার্কিন মুলুকের!


(সংযোজনঃ আমাদের দেশে তেলের চাহিদার চারভাগের এক ভাগ পূরণ হয় নিজস্ব উৎপাদনে আর তিন ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যেহেতু ইলেকট্রিসিটি উৎপাদনেও ব্যাপকভাবে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রয়োজন সেক্ষেত্রে পারমানবিক শক্তি, জলবিদ্যুত ও সৌর শক্তির উৎপাদন আমাদের দেশের অচিরেই বাড়ানো দরকার, আরও দরকার সমুদ্রে ও দেশে আরও তৈল সমৃদ্ধ অঞ্চল সনাক্ত ও উৎপাদন করা কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে সোনার পাহাড় আবিস্কৃত হলেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তা থেকে লাভ হতে বহু বহু সময়ের দরকার হবে। তবে তেলের চাহিদা যদি তেলের দেশজ উৎপাদন আর বিকল্প শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি করে যথেষ্ট ভাবে পূরণ করা যায় সেক্ষেত্রে তেলের আমদানি কমিয়ে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ অনেক দ্রুত করা সম্ভব)