"বাবা দিবস"
(লেখাটি সরাসরি এখানেই লেখা)


লে লাদাখ কাশ্মীর সিমলা কুলু মানালি
নৈনীতাল দেরাদুন পাঠানকোট বার্মা বর্ডার লুংতলাই।
মিজোরাম মনিপুর অরুণাচল গৌহাটি
পল্টন মুভ হতো সারি সারি ফৌজি গাড়ি নিয়ে
আমার বাবা সিপাই ছিলেন তাই অনেক
গর্ব আমার।


একদিন লিখেছিলাম,
দেশের সেবায় সারা জীবন দিলে যে অবহেলে
ভাবতে আমার ভালো লাগে তোমার
ছেলে বলে।


অনেক ছোট তখন; ঘুম থেকে উঠেই
চকোলেটের বাক্স পেতাম মুখের কাছেই আর বুঝে যেতাম
বাবা এসেছেন।
লিখতে গিয়ে কপোল বয়ে যাচ্ছে আজ অথচ
কতই না বিরোধ ছিল বাবার সাথে।
কি করেন নি তিনি!


আজ আমার পচ্চান্ন বছর বয়স আর জ্ঞান হবার সময় থেকেই দেখেছি
১২০০ টাকার মানি অর্ডার প্রতিমাসে ডাক হরকরা দিয়ে যেত।
তখনকার ১২০০ টাকার মূল্য এখন অনেক ভাবি ঠিক কতটা ছিল
আর তাই বুঝি সোনার দোকানের বড় খদ্দের ছিল আমার মা।
দোকানদারেরা বাড়িতেও আসত
সব কেমন যেন আত্মীয়ের মত
হয়ে গেছিল।


তাছাড়াও চার পাঁচটা রিক্সা (তখন রিক্সার পারমিট হত)
মা দেখাশোনা করতেন।
শহীদ আমীরুল এরা দুজনেই আমাদের রিক্সা চালাত
প্রতি সপ্তাহে রবিবারে কিস্তির টাকা দিত আসত তারা।
মায়ের রিক্সার একটা খাতা ছিল
তারা এলে মা সেই খাতাটা খুলে হিসেব করতেন।
আজ বাবা নেই মা আছেন
তিনি চলে গেলে ভাবি আমার জন্য চিন্তা করবার আর কেউ রইবে না।
অশ্রু সজল চোখে এসব যে কেন লিখে চলেছি
জানি না।
সকাল থেকে শুনে আসছি বাবা দিবস , বাবা দিবস
তাই বুঝি।