“বাপের বাপ”


তোরাই উঁচু আমরা নিচু, জাত ও ধন নেই তো গলে
তাই বলে কী দেখবি মোদের পায়ের তলায়
জুতোর তলে!
ধন বিধাতা দিলই যদি তাই কী নিয়েই যাবিই সাথে
মরণ যখন ঠুক ঠুকাবে, জ্বলবে শরীর নিশীথ
রাতে।
নষ্ট মোরা নর্দমাতে সাফ করি শোন তোদের পাপ
জানিস নাতো মূর্খ তোরা, আমরা তোদের বাপের
বাপ।
ময়লা ছেঁড়া কাপড় জামায় লিপ্ত তোদের কাঁদাই মাখি
আমরা যদি না থাকি রে, কাঁদবে তোদের পরাণ
পাখি।
তাই বলে দি হক টা মোদের জানবি তোদের চেয়েই বাড়া
অমর মোরা এই দুনিয়ায়, থাকবো মোরা দাঁড়িয়ে
খাড়া।


“পাইসা”


কাব্যে কী বাপ পাইসা মেলে! বৃথাই সময় যায় যে জলে
এলেবেলে এমন জীবন ঝুমুক ঝুমুক বোল কী তোলে!
নব্য নতুন কতই ফ্যাশন
তার সে প্রিয়ার ঘোর সে প্যাশন,
পাইসা বিনে পূরণ কী হয়, তাই তো তিনি বাপের কোলে।


তাও রে উড়ি, পাইসা কড়ি না হলো বাপ তাও
ঝাড়ুর বাড়ি কিংবা জুদি মারলো নিয়ে দাঁও!
যেমুন শহীদ বীর সেনানী
বুক পেতে দি টানবো ঘানি,
হ্যাচর প্যাচর কানের গোড়ে, ডুবাক না বিশ বাঁও।


“ভেঙচি”


বলছে বুল কপি টপি এক দমই চলবে নারে!
বল তো বুঝা আমরা স্বাধীন, নাই চলি নাই
কপি করে।
যা আসে মন বাজাই বাঁশি, দৃপ্ত মোরা চলছি আগে
শিস ক্যান দিস, ভ্যাঙাস নাকী, দুলছি আমি
ভীষণ রাগে।
তোর ঠিকানায় আছিস তুই, এক্কেরে তুই নিজের মত
আমি আছি কাব্য কথায়, হুতুম প্যাচার ল্যাজের
ব্রত।
আমরা দুজন দুই মেরুতে, হৃদয় মোদের একটাই
শিস দিস না অমন করে
ভেঙচি কেটে বলছি
ভাই।


"জয় মা কালি"


জয় মা কালি কালই দেহ;  দিল খানা কী তাও!
বলছে খোকা কান্না ধরে, দিস না কেন রা'ও!
তোর তো গলে মুন্ডুমালা
ক্লাবের ছেলের হাতের ডলা;
তুই নিস মা মুন্ডুগুলি; আর ভূত গুলি; মোদের করে ধাও।