(আজ কাজে জলপাইগুড়ি যেতে হয়েছিল, যাবার আর আসার পথে বাসে বসে মোবাইলে লেখা)


যুগল দেশাত্মবোধক লেখা, "বাংলা মোদের তাজ"


"কবি মনিরুল হক"


চির ঋণী করেছ মোদের
বুকের রক্ত দিয়ে।
ভাষার জন্য দিয়েছ প্রাণ
অকুতোভয়, তোমরাই বীর সৈনিক।


আজও তোমরা চির অমর
থাকবে চিরদিন।
ভুলতে পারিনি আজও মোরা
তোমাদের আত্মদান।


জন্ম হতে মুখের বুলি
মায়ের মুখের ভাষা।
কেড়ে নিতে চাইছে, ওরা মাগো
তোমার মুখের ভাষা।


ওরা ও মাগো বুলি আওরায়
তাদের মায়ের মতন।
কেমন করে ভাবল তারা কেড়ে নিতে,
আমার মায়ের ভাষা।


(কবি মনিরুল হক'এর পাতায় মন্তব্যে লেখা)
"সঞ্জয় কর্মকার"
.
মা এর ভাষা প্রাণের ভাষা দীপ্ত তার ঐ সুর
শৌর্য তার ওই বীর্য তার ওই দূর হতে যায় দূর।
ভাষার তরে জীবন মোদের মুষ্ঠে যে রয় প্রাণ
আসলে আঘাত ঝাপিয়ে মোরা দেই তা অমোঘ দান।
বাংলা মোদের গরব ধ্বনী বিশ্বে সবাই মানে
ভাষার দিবস তাই তো তারা শ্রদ্ধা যে দেয় রণে।
শহীদ এর ঐ দেশ মানেতে সালাম রফিক সবে
এমন সে দেশ কোথায় বলো খুঁজলে কি আর পাবে?
পাখির গানে আমরা জাগি স্রোত এর ধারায় চলি
ভয় টি দূরে রেখেই মোরা প্রেমের সে ভাষ বলি।
শৌর্য মোদের সূর্য জেনো, স্নিগ্ধতার ওই চাঁদ
বীরের সে জাত বাঙাল মোরা; বাংলা মোদের তাজ।


(ফিরে আসবার সময় বাসে সোহাগ হাসান নাঈম এর কবিতার মন্তব্যে লেখা কবিতা)
.
"সঞ্জয় কর্মকার"
.
নিঠুর নহে রুষ্ট মনেই কোরছো কেনেই রাগ
বসন্তের ওই ফল্গু ধারায় করুণ অনুরাগ।
দীপ্ত ধরা দীপ্তি তার ওই সদাই রাখে সুখে
মাটি ই খাঁটি সেথায় যেতেই কাঁদছো কেনো দুখে?
জন্ম যেমন মাটির পরে ভূঁই ফুঁড়ে যে আসা
কতই আদর সোহাগ ধরা প্রাপ্তি ভালোবাসা।
আপন আলয় তাই তো মাটি মায়ের কোলে যেতে
ভয় কোরো না দুঃখ কিসের! দিলাম হৃদয় পেতে।