"ব্যথা দিয়ে যায়"
(লেখাটি লিখবার অনুপ্রেরণায় আসরের মাননীয় প্রিয় কবি বিভূতি দাস মহাশয়। লেখাটি ওনার প্রতি উৎসর্গীকৃত)


(মানুষ যখন হিংস্র পশু পাখি দের সাথে বন বাদার গুহায় বসবাস করতো তখন তারা জীবন ধারণের জন্যই অত্যন্ত হিংস্র ছিল। তখনকার সেই পরিস্থিতিতে উগ্র হিংস্রক না হলে জীবন রক্ষা করাই দায় হয়ে পরতো। জীবনধারণের জন্য প্রয়জনীয় খাদ্য সংগ্রহ করবার জন্য নিজেদের মধ্যে পশুদের মতই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লেগেই থাকতো এবং তা ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু আজ উন্নতির শিখরে সমাজবদ্ধ জীব সৃষ্টির সেরা মানুষ জাতি আজ অনেক অনেক উন্নত হলেও সে আদিম হিংস্রতা , ক্রূরতা কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বয়ে নিয়ে চলেছে আজও, সত্যই কি মানুষ উন্নত হতে পেরেছে!)


চিত্ত তথায় পাথর গুহায়, গিরিখাতে কিনারায়
উদ্যত লহু অশনি প্রবাহ আজ ও বয়ে, বয়ে যায়।
হিংস্রতা যেথা আছিল শিয়রে গুহাতে আছিল প্রাণ
ক্রূরতা তথায় আছিল বিধায় বাঁচিবার তরে গান।


উন্নীত জাত জ্ঞানের আলোকে সমাহিত আপনারে
পাশবিক প্রাণ প্রশমন হেতু সমাজেতে বাঁধে তারে।
বিবর্তনের গরিমা কুশলে ক্রম উন্নত হয় নরে
শাখায় শাখায় জ্ঞানের ই পাখায় দুঃখ বেদনা হরে।


নির্মাণ আজি সুচারু সুশীল শিখরেতে গতি তায়
বিকশিত জ্ঞান নব নব রায় অশনি বেগেতে ধায়।
অগ্র দূতের ই অশ্ব খুরেতে সজীব সতেজ দেহ
পুরাতন যাহা পাশবিক অতি, বিছারিতে নাহি কেহ।


তবুও আজিকে রুধির ধারাতে গরলেতে প্রাণ ধায়
দানবিক ক্ষণ জেগে জেগে উঠে মর্মরে গীত গায়।
বিভেদতা হেতু ব্যভিচারী জন বিষমতা জাল বোনে
অসহায় প্রাণ লোহিত সাগরে মৃত্যুর কাল গোনে।
হিংসা ও দ্বেষ হলাহল আজি ঘনায়ে করাল ছায়ে
মৃত্যুর দ্যূত মানব আপনি কুপিত করাল কায়ে।


চিত্ত  আজও পাথর গুহায় গিরিখাতে কিনারায়
উদ্যত লহু অশনি প্রবাহ আজ ও বয়ে, বয়ে যায়।
হিংস্রতা আজও আকাশ বাতাস ক্রমানয়ে করে ক্ষয়
উন্নতির ওই শিখরো সোপানে আজও ব্যথা,
ব্যথা দিয়ে যায়।