গত ৮ জানুয়ারি মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ও মর্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণ সভা, টালিগঞ্জে উপস্থিত হয়েছিলাম। সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে্র সাথে সাথে কবিতা পাঠ অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠিত হয় ও কবিদের স্মারক প্রদান করা হয়। ৮ তারিখ সকালে কলকাতা পৌঁছে হোটেলে উঠবার পরই ভাবনা আসে যে এমন একটি বিপ্লবী স্মরণসভা অনুষ্ঠানে গতানুগতিক কবিতা পাঠ না করে শহীদ সম্মানে কিছু লেখা উচিত বা পাঠ করা উচিত। তৎক্ষণাৎ একটি কাগজ খুঁজে নিয়ে লিখতে বসে যাই যথারীতি লেখাও হয়ে যায়। এ লেখাটিই সে অনুষ্ঠানে পাঠ করেছিলাম পরবর্তীতে।


বাংলার ভূম স্বদেশীর ভূম বিপ্লব ইতিকথা
হেথায় ক্ষুদিরাম হেথায় যতীন ধারক ও বাহক তথা।
দীঘল তাদের ভাবনা স্বদেশ বন্দে মাতার গান
ভুলি নাই বীর প্রেম সুনিবিড় হৃদয়ত আলোড়ন।


পাষাণ কারার অন্তরালের ব্যথা ভরা দিনগুলি
যায়নি বিফলে স্বাধীন স্বদেশ নিশান গগনে ফেলি।
তাহাদের দান পাহাড় প্রমান-ঠেকাই এ ভূম মাথা
এ দেশ শিলায় রেণুতে রেণুতে লিখত সে বীরগাথা।


গর্ব আমার শিরায় শিরায় রক্ত শোণিতে বহে
উদার এ ভূম মহিয়ষী মাতে-বক্ষে আমার রহে।
জন্মে তোমার গর্ভে এদেশ বীরের এ ভূম তথা
শত শহীদের রক্ত লোহিতে-লেখা যেথা বীরগাথা।


কত শত বীর আজিও উদিত এ ভূম গগন তল
কান্ডারী সবে জাগ্রত ভবে-ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ও
মর্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল হল।
দ্বীপ শিখা তার মননের দ্বার-দ্বারেতে বাহিত হেথা
সুবাসিত হোক সুরভি ছড়ায়ে সে রথ বিজয়গাথা।