(দিন দুয়েক ব্যাবসার কাজে খুবই ব্যস্ত, আসরে সময় দিতে পারছি না তবে গতকাল চেম্বারে শ্রী স্বপনবাবু এসেছিলেন। কাজের ফাঁকে তাকে বলি, আজ কিছু বলেন লিখে ফেলি। উনি ইতস্তত করছিলেন তো আমি বলি যা ইচ্ছা তাই বলুন। একটু চিন্তা করে তিনি বলেন আমি বলছি আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে কবিতা বানিয়ে ফেলেন। উনি তারপর বলতে থাকেন আর আমি তার কথাগুলিই লিখতে থাকি। তার কথা শেষ হলে আমি বলি, এটাই তো একটা কবিতা হয়ে গেছে। আধুনি কবিতা এমনই হয়। যাই হোক তার নামেই তাই লেখাটি প্রকাশ দিলাম বিশেষ সংখ্যায়)


"দুনিয়াটা  ভোগে গেছে"


লেখক শ্রী স্বপন ঘোষ


বাচ্চাকাচ্চাকে দিতে আসে মা বাবা
দিতে এসে হয়ে যায় ভালোবাসা।
সেটা সঙ্গে সঙ্গে হয় না
কিছুদিন সময়
লাগে,
যে পড়ে নার্সারী সে যাবে ওয়ানে
তখন ওদিকে
টলোমলো।
এইবার ওয়ান এর বাচ্চা তার মাকে বলে
বাবাকে আমি দেখলাম আমার স্কুলের সামনে
একঘন্টা দাড়িয়ে ছিল।
তারপর তার মা তার স্বামীকে বলে, ওখানে তুমি কী করছিলে?
কেন দাঁড়িয়ে ছিলে? তুমি কী মনে করো আমার কান নিছে
চিলে।
দুদিন পর মেয়ে বলে মাকে, বাবা আন্টির সাথে গল্প করছিল।
আন্টির বাচ্চা আর এর বাচ্চা দুইজনে ক্লাসে গল্প করে;
সব মা বাবা চলে যাচ্ছে, তোর বাবা আর আমার মা
কেন গল্প করে।
ওই বাচ্চা আবার ওর বাবাকে এরকম বলে,
সবাই চলে যায়, মা কেন আঙ্কেলের সাথে
গল্প করে।
এই নিয়ে দু বাড়িতেই ঝামেলা, এইবার ওই বাড়ির কর্তা বলে
আমি যাব বাচ্চাকে আনতে বা দিতে,
ওই বাড়ির গিন্নি বলে, তোমাকে আর যেতে হবে না,
আমিই কষ্ট করে যাব।
পরবর্তীকালে দেখা যাচ্ছে, সেম কেস।
ও ওর বউরে নিয়ে ভাগে আর সে তার বউরে নিয়ে
ভাগে।
দুনিয়াটা ভোগে গেছে।