ঈশ্বর কী কখনো বিষন্ন হতে পারেন!!!
এই প্রশ্নটির উত্তর খোঁজ করবার পূর্বে অবশ্যই জানা দরকার ঈশ্বর কী বা কে??
সহজ সাধারণ একটি প্রশ্ন আর সে উত্তর দেওয়া সকলের কুনি আঙুলের খেলা মাত্র।
প্রত্যেকেই এককথায় বলে দেবেন
ঈশ্বর এই বিশ্বব্রহ্মন্ডের সৃষ্টিকর্তা, দন্ড মুন্ডের অধিকর্তা।
অবশ্যই সত্য তা।
যার ইচ্ছায় নিমেষে সৃষ্টি হয় শত শত কোটি সৌরমন্ডল,
নীহারিকা গ্রহ তারা আবার নিমেষেই
তিনি ধ্বংস করে দিতে পারেন তা।
সেরকম এক জনার মন বিচার করবার ক্ষমতা এই পৃথিবীর মানুষের বা
আরো অন্য নানান মহাজাগতিক সভ্যতার রয়েছে কিনা
সেটাই আগে চিন্তা করা প্রয়োজন বৈকি!!
ঈশ্বর, তিনি আদি ও অনন্ত। তার জন্ম আর মৃত্যু বলে কিছুই নেই।
আমি হলফ করে বলতে পারি এমন বিগ ব্যাঙ শেষবারের মত আগেও
অনন্ত বার সংঘটিত হয়েছে আর এমন গ্রহ তারা নীহারিকা আর সভ্যতা
লক্ষ কোটি কোটি বার তিনি সৃষ্টি করেছেন আবার তা
ধ্বংস ও হয়ে গিয়েছে কালচক্রে।
লক্ষ কোটি কোটি বিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগেও বিবর্তনে
মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল ধ্বংস-ও হতে হয়েছিল
তার ই ইচ্ছায়।
কাজেই মানুষ সে তার ক্ষুদ্র চিন্তার পরিধীতে তার মন বিচার করলে
তা অবশ্যই ভ্রান্তিবিলাস ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
ঈশ্বর অবশ্যই শাস্তি ও দিয়ে থাকেন তবে তার একদিন বা এক লহমা
এ জগতের কত শত বছর বা কাল হতে পারে সে কল্পনা কী
আমরা আদৌ করতে পারি? বা,
তিনি তো জন্ম জন্মান্তরে তার শাস্তিবিধান করে থাকেন
সে সব পারলৌকিক বিষয় কী আমরা জানি!!
শত সহস্র কোটি কোটি সুপার কম্পিউটার ও ঈশ্বরের কাছে নস্যি মাত্র আর তাই
তাকে বিচার করবে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম মানব সম্প্রদায়,
তার মনের বিচার করবে!!
এ এক হাস্য রসাত্মক চিন্তা ছাড়া
কী আর হতে পারে বলুন!!
সে কবিতায় ঈশ্বর যেনো ঠুঁটো জগন্নাথ!!
এমন চিন্তা করবার আগে মৃত্যু দিও ভগবান।
বাংলাদেশ থেকে আগত কাঁথির আন্তর্জাতিক বাংলা কবিতা সম্মেলনে কবি আরিফ উদ্দিন সর্দারের লেখা ও পাঠকৃত,"ঈশ্বর কেন বিষন্ন" কবিতাটি মনে দাগ কেটে গিয়েছিল। অনেক চিন্তা ভাবনা করে যা উপলব্ধি করতে পেরেছি, আধুনিক কবিতার আদলে সেটাই লিখে গেলাম।