কবিতা লেখা দারুন সহজ গড়গড়িয়ে চলে
রথের চাকায় লাগিয়ে রশি যেমন অবহেলে।
আ কার ই কার,ও কারেতে টান দিয়ে দাও বেঁধে
দু প্যাঁচ লাগাও জল জিলেবির একটু গলা সেধে।


কাঁঠাল যেমন গন্ধ ছড়ায় পাকলে নরম হয়
দু চার কথায় সে ঘ্রাণ দিয়ে সেঁকতে তাকে হয়।
আর মুচমুচ খাস্তা যেমন শাণ বাঁধানো বাক
দিয়ে দিলেই কাজটি খাশা ডাকবে দেখো প্যাক।


তাও জুদি না ডাকলো ছানায় বকম বমক রবে
পেন দিয়ে দাও দু চার গুতো তাইলে কথা কবে।
শেষ মেশেতে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখে ঘার
দু চার কলি হাওয়ার থেকেই না হয় নিবে ধার।


সেই ধারেতে কাটবে কুড়ুল কপ কপ কপ করে
বইবে হৃদে স্নিগ্ধ ধারা প্রশান্তির ওই দ্বারে।


রম্য রচনা, "মোক্ষম"


ব্যাপার একই ব্যবসা পাতি পুরুত কি বা চাকুরে
ফাদ দিয়ে সব কামাই ধামাই ভ্রষ্টাচারের
জড় পুকুরে।
দুই কে চার, চার কে আট নয় কে করে ছয়
ঘুষের টাকায় ফন্দি ফিকির নাই কো
তাদের ভয়।
সেই বাছারাই বাছাই হলে কেস কি রোগ আঁশু রে!
উকিল সাহেব টান মেরে দেন যেমন
কিনা ফাসুরে।
ডাক্তারেতে দাবাই দিতে শতেক রকম মোক্ষম
তিল কে তাল বানায় দিতে হয় যে
তারা সক্ষম।
রঙ্গ নাথের এই দরিয়ায় মিষ্টি জলে ভাসাই তরী
নোনা জলেই সাগর যে থই দিতেই লাগে
গড়াগড়ি।


রম্য রচনা, "ফাস"


একদম ঠিক কথা ক্রোধ আর কম্বলে
কচু কাটা হয় লাস বলেছিল ভোম্বলে।
হাঁদারাম বুঝে নাই ক্রোধে তাই ফুসছিল
গরলেতে কটু বাকে জায়া তার মরছিল।
শরমের লেস নাই দাসি তারে ভাবে তাই
পান থেকে চূন খসা! দিল সেই মারটাই।
রগ রগ গজগজ হাঁদারাম লাল মুখে
গোসা তার থামে নাকো জায়া তার সম্মুখে।
কাল জানি নদীটাই মরা চরা বুকে তার
সকালেতে উঠে দেখে ফাস দেওয়া বউ তার।


রম্য রচনা, "টক ঝাল মিষ্টি"


বই যত খানা তত টক ঝাল মিষ্টি
কবি তার কবিতায় নব নব সৃষ্টি;
তারি সাথে নন্দিত গলা জিবে বন্দিত
ফুচকার বৃষ্টি।
চটপটি ভোজনেতে বইমেলা রাশভারি
স্টলে স্টলে থরে থরে রকমারি বই সারি।
নাচে গানে কবিতায় কাল তার পল বয়
বই যত খানা বেশি; খেয়ে সবে
বাড়ি যায়।