"বর্ষ বিদায়"


ধীরে ধীরে ক্ষয় লয়ে গত হলো বারো মাস
সুখ দুখ শত ভিড়ে ঝরে পরে মধু রস।
সে রসের সুধাতেই জীবনের ই জয়োগান
আনন্দ উপাচারে বেণু রবে দ্বারে দ্বারে
বিহগের কলতান।  


শত ব্যথা দুখ দানে কেড়ে নেওয়া আলো ছায়
আজি দিশা লগনেতে যেন দূরে বয়ে যায়।
সহস্র নাগিনীর বিষ ধরা কটু ভাপে
পারে নাই কেড়ে নিতে; দুখ দ্রোহ
অনুতাপে।


আলোকের অভিমুখে বাহিত সে মহা নদী
জয় জয়ে জয়াকার যুগ কাল নিরবধি।
আজি দিশা হাহাকারে নাহি পারে সহিবারে, দু;খ;
করোনার ছোবলেতে শত প্রাণ ঝরে যায়
সেইটাই মূখ্য।


তার ই মাঝে ফল্গুর ই; ধারা বহে কূলে কূলে
নাহি গ্লানি নাহি মান; কহিলাম
সবই ভুলে।


ওহে মধু নন্দন করি তোহে বন্দন কর পুটে ধূপ সনে
দুখ জ্বালা সখ্যতা নাহি নাহি নাহি ব্যথা;
নবোদয়ে স্বপ্নালু, মুখরিত
গীত গানে।


“আরাধনা”


নীড়ে নীড়ে বিশ্বাসে টলোমলো সরোবর
কোমল সে সুবাসেতে সবে একে
একাকার।
ধনীজন কি বা দীন দলিত কি শূদ্র
জপে ঘরে পুঁতি মালা হেরিয়া
সে রুদ্র।
উঁচু নিচু জাত পাত মন্দির গির্জা
গিরি সবে নত শিরে মাটি
নিছে সজ্জা।
কলুর ওই বলদেতে ঘানি খাটা মজদুরে
কিবা রাজ মহারাজ গান আজি
একই সুরে।
দূরে দূরে বলাকার ডানা বোজা কাব্যটা
নাক কান বুজে আজি ঘরেই ঐ  
পানে ছোটা।
ছোটাছুটি ছয়লাপে রিক্ত সে জাল বোনা
আঁখি জলে একাকার; প্রভুর ঐ
আরাধনা।