ধর্মহারা দ্বিতীয় ভাগ


ও মা আমার পিতা তোমার, তুমি বলো পতি
আর তমা দাদু তাহায়, ভালোবাসায় অতি।
মানুষ সে তো একই জনা ভিন্ন কী আর হয়!
কেন্ বোঝেনা মানুষ তাহা ধর্মে মেতে রয়।
ঈশ্বর বা আল্লা যে জন গডও তিনিই হন
কেনই মানুষ ভিন্ন ভাবে; করতে চলে রণ?


(গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছি, কাল দার্জিলিং যেতে পথে গাড়িতে মনে মনে যে কয়টি লাইন উচ্চারণ করেছিলাম সেটুকুই শুধু লিখে গেলাম, আজ ও কোচবিহার যেতে হবে একটু বাদেই, এসে লেখাটিকে সম্পূর্ণ রূপ দেব)


মা এর কপোল বইলো বেগে রুধির যেমন বান
ফুঁপিয়ে কাঁদে দু চোখ তাহার স্মৃতির ছায়ে মন।
সে দিন সে তার হারায় পতি খোকন; বাপজান
তাই কী খোকন বাক্য এমন, উতল হলো প্রাণ।


খোকন কাঁদে মা তার কাঁদে কাঁদছে কবির মন
ধর্ম কেনই উগ্র এমন দগ্ধ যে হয় প্রাণ।
রক্ত লোহিত অঙ্গ একই শোক আর পরিতাপ
ধর্ম সে কোন নাই কো তথায় খোকন ও তার বাপ!


প্রসব ব্যথায় কোন সে নারী ধর্ম সে কোন বলো
মা জননী প্রেম আর প্রীতি ভালোবাসার ঢল ও
নাই কো তথায় প্রণয় ব্যথায় উতলতার ঢেউ
এমন কোনো ধর্ম কী গো, বলতে পারো কেউ?


মৃত্যু যেমন সত্য তেমন একই তিনি হন
ইশ্বর বা আল্লাহ বলো, রহিম কী বা রাম।
একই বুলি তাহার ঝুলি দয়ার সাগর তিনি
বিশ্ব বিকাশ তাহার প্রকাশ সদাই তাহার ঋণী।