“ধ্বজা”


মাঠ ঘাট নদীতট; বন বাদার সবই ব্রাদার;
রুধিত সেথায় পথ; থেমে গেছে, থেমে গেছে আজ;
মানব জীবন রথ।
রুদ্ধ ধরণী ক্রোধিত বুলিতে ঝঞ্ঝা তুফানে রত
করোনার বিষ ফেলায়ে দোলায়ে
মারিতেছে অবিরত।
মানব পরিধি মননশীলতা যবে হলো পারাপার
কুঞ্চিত ভাল বিরূপ বিধায়ে
উদ্যত ক্রুরতার।
সাম্য যেথায় বিলীন রাহেতে; পরিবেশ হয় হানি
বিধাতা সেথায় ধ্বজা উড়ায়ে
পরাজিত করে গ্লানি।
আজিকে প্রহার করিতে সেথায় করোনার মাঝে রত
সাম্যের বাণী গড়িতে সমাজ; ভরিতে
গহীন ক্ষতো।


“বারতা”


যুগে যুগে কালে কালে মেতেছিল প্রলয়েতে  
মৃত্যুর মিছিলেতে আলয়েতে বলয়েতে।
ধরণীর ধারা রোধে নানাবিধ মহামারী
নিয়েছিল শত শত কোটি কোটি প্রাণ কাড়ি।
উরগের হলাহলে বহ্নি সে জ্বালাময়
গরলেতে তিক্ত সে মহামারী বিষময়।
ক্রন্দন ধ্বনি রব মেদিনীর কোণে কোণে
করোনার ছোবলেতে ভয় ভীতি জাগে প্রাণে।
শুনো ওগো দয়াময় দয়া করো মমতায়
প্রশান্তি নীড়ে দেহো স্নেহময়ী
বারতায়।


“হাসবে আকাশ”


একদিন সবই ঠিক হবে জানি, জীবনহানি
মৃত্যুর দেশ হতে ফিরে।
হাসবে আকাশ হাসবে বাতাস
গাইবে পাখি
সুরে সুরে।